10 গুণ সফল হবেন কিভাবে(10x সূত্র) ?
সফলতা আপনাকে সমাজ এ প্রতিষ্ঠিত করে, লোক আপনাকে শ্রদ্ধা করে ,সম্মান করে, আপনার সাথে কথা বলার জন্যে উৎসুক থাকে ,আপনার সাথে দেখা করার জন্যে লোক অপেক্ষা করে থাকে। তাহলে কে না চায় "সফলতা " লাভ করতে ? কিন্তু কি করে আমরা বড় সফলতা পাবো ?সে সব নিয়েই আজ আলোচনা করব।
সফলতা
না থাকলে আপনার জীবন পরিপূর্ণ নয়। আপনি যতক্ষন সফল হচ্ছেন না আপনাকে অসম্পূর্ণ মনে হয়। অনেকেরই কাছে শেষ বয়সে আফসোস করতে শুনবেন তারা বলেন
যখন “আমার সময় ছিল তখন এটা করা দরকার ছিল,
ওটা করা দরকার ছিল, করিনি তাই বলছি সফল হও”। “সফল
হওয়া” কোনো বিকল্প নয়।
এটা আপনার জন্য জরুরী। অনেকে ভাবেন আমার মাতা-পিতা
আমার আত্মীয়-স্বজন আমার সব অসফলতার জন্য দায়ী,
বাস্তব তা নয়। তারা বলেন তারা আমাকে ভালো স্কুলে দেয়নি,
পড়াশোনার জন্য খরচ করেনি, ভালো শিক্ষক দেয়নি, কিন্তু
বাস্তবে তা নয়।
আর যদি বা তা হয়, যদি
আপনার মাতাপিতা দুর্বল, যদি তারা আপনাকে সহযোগিতা করে উঠতে পারেনি,
কিন্তু এখন যখন আপনি পরিণত হয়েছেন যখন আপনি বুঝতে শিখেছেন আপনার কি দরকার। এখন তো
সফল হওয়া আপনার দায়িত্ব। অতীতকে না হয় ভুলেই যান, সফলতার
কোন বয়স নেই। আপনি এখন যদি চেষ্টা করেন সফল হওয়া সম্ভব।
সফল
হওয়ার জন্য এমন নয় যে স্কুল বা কলেজের ডিগ্রী সার্টিফিকেট দরকার। সেটা ছাড়াই সম্ভব।
অতএব এখনো সফল হওয়ার রাস্তা রয়েছে।
আর সফলতা হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, যখন
আপনি বুঝেছেন আপনার সফল হওয়া দরকার, তখন আর বসে থাকবেন না কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন। রাস্তা একটু কঠিন হবে কিন্তু অসম্ভব নয়। সফল হওয়া অবশ্যই কঠিন, সেই
জন্যই তো খুব কম সংখ্যক লোক সফল হতে পারেন। যারা
সেই কঠিন এর সম্মুখীন হতে পারেন, সেই কঠিন কে গ্রহণ করে তার উপর লড়াই করে এগিয়ে যাযন
তারা সফল হতে পারেন। যারা কঠিন ভাবে কাজ করতে ছেড়ে দেন,
তারা অসফল হন। অনেকে আবার সফল হওয়ার জন্য শর্টকাট রাস্তা চান। আর অনেকেই আবার সফল হওয়ার জন্য কঠিন কঠিন পরিশ্রম
করতে চান না। যার ফলে বিকল্প অবৈধ পথ বেছে নেন।
আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
অনেকে ভাবেন যে অন্যের ক্ষতি না করে নিজের লাভ বা
নিজেকে সফল হওয়া সম্ভব নয়, বাস্তবে সেটা নয়।
এই আকাশ এতটাই বড় যে.. প্রত্যেকটি পাখি একে অপরের
দ্বারা স্পর্শ না করে মুক্তভাবে উড়তে পারে। তেমনি,
এ পৃথিবী এতটাই বড়, এর মধ্যে এতো সুযোগ সুবিধা যে একে অপরের ক্ষতি না
করেও সফল হতে পারেন।
প্রত্যেকে সফল হতে পারেন যদি তাঁরা সফল হতে চান। যদি আপনি সাধারণের থেকে উপরে উঠতে চান তাহলে আপনাকে
সাধারণের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সাধারণের
তুলনায় বেশি চেষ্টা করতে হবে এবং তার জন্য উপরে ওঠার জন্য সাধারণের তুলনায় অনেক বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। যদি আপনি বড় লক্ষ্য না রাখেন তাহলে তো বড় হওয়া
সম্ভব নয়। জীবনের লক্ষ্য এত বড় রাখুন যাতে আপনার যে ক্ষমতা..
তার দশগুণ পরিশ্রম করতে হয়। তার দশগুণ বেশি কাজ করতে হয়। হ্যাঁ আপনার সব ক্ষমতা থেকে 10 গুণ
বেশি কাজ করতে হবে। নিজেকে সামনের দিকে ঠেলে দিতে হবে,
কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যা পরিশ্রম করেন তার দশগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে,
তাহলেই দেখবেন জনসাধারনের তুলনায় এগিয়ে গেছেন।
প্রথমে
আপনি ঠিক করুন আপনি কি করতে চান? কোনদিকে যাবেন? আপনার
জীবনের লক্ষ্য.. যদি আপনি ভাবেন সবার থেকে ভালো
হবেন, তাহলে আপনাকে সবার থেকে বেশি চেষ্টাও করতে হয়। “এক্সট্রাঅরডিনারি” হওয়ার
রাস্তা রাস্তার খুব চাহিদা কিন্তু ঝুঁকিও রয়েছে।
সময় সময় আপনি প্রচুর ক্লান্তি অনুভব করবেন, কিন্তু
আপনাকে থেমে থাকলে চলবে না। যদি আপনি সোজা রাস্তা চাইছেন,
তাহলে সফলতা আপনার জন্য নয়।
যা দরকার তার থেকে বেশি শ্রম করুন। সফল সফলতা পাওয়ার অর্থ হলো.. কিছু
অসম্ভবকে সম্ভব করা। যা সাধারণ লোক অসম্ভব ভাবেন সে কাজ কে সম্ভব করে দেখানো
হলো সফলতা। আরামের রাস্তা সহজ রাস্তা আপনাকে সফলতা নিয়ে আসবে
না। কারো সাথে প্রতিযোগিতা করার দরকার নেই,
যদি যখন আপনি বাজারে নামছেন আপনার লক্ষ্য কারো সাথে প্রতিযোগিতা করা নয়। আপনার লক্ষ্য এমন হওয়া যাতে আপনার সাথে প্রতিযোগিতা
শেষ হয়ে যায়, নিজেকে এত পরিশ্রম করুন নিজেকে এত কিছু অভিজ্ঞতা,
জ্ঞান হাসিল করুন,
এমন কিছু করুন, যে কেউ আপনার সাথে প্রতিযোগিতায় আসেনা। আপনাকে এক্সট্রাঅরডিনারি হতে হবে,
যা কেউ করেননি এমন কিছু করতে হবে, এমন কিছু
করতে হবে যা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। আপনাকে ভয়হীন লক্ষ্য রাখতে হবে। আর সেই
মহান বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর যে কাজটি হলো সেটা হলো প্রচুর কাজ করা । তাকে সফল
করার জন্য যা কিছু দরকার সবকিছু করা, তাকে সফল করার জন্য যা কিছু সাধন বস্তু দরকার,
সবকিছু জোগাড় করে,
কাজে নেমে পড়া। কাজ
এর অন্তিম ফলপ্রাপ্তি না পৌঁছানো পর্যন্ত কোনো বিশ্রামের দরকার নেই।
চার ধরনের লোক রয়েছে:-
1)প্রথম ধরনের লোক যারা কিছু করেন না।
সমাজ অথবা প্রকৃতি যা দেয়, এই
তাতেই সন্তুষ্ট থাকেন। তারা একটু বেশি মেহনত করেন না। তারা গরিব হয়ে জন্মালে জীবনের শেষ মৃত্যু পর্যন্ত
গরিব ই থেকে যাবেণ। কারণ
দারিদ্রতা দুর করার জন্য যা প্রয়োজন, তার
পদক্ষেপ নেন না।
2)দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে “লুকোনো ক্যাটাগরি”। তারা সফলতাকে ভয় পান।
সফলতা পেতে যখন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তখন
পিছিয়ে যান। এই ধরনের লোকেদের জানা আছে সফল হতে গেলে কি করতে হবে, কিন্তু
তারা তা করেন না ভয় পান, পদক্ষেপ নেন না।
তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে অনেক দক্ষতা রয়েছে.. কেউ
তো ভালো ফুটবল খেলেন, কেউ ভালো গান করেন, কেউ
অঙ্কে দক্ষ, কিন্তু সেই দক্ষতাকে তারা কাজে লাগান না। সেটাকে নিয়ে চর্চা করেন না, ফলে
তাদের দক্ষতা ঘুমোনোই থেকে যায়। কোনদিন প্রকাশিত হয়ে সফলতা শিখরে পৌছাতে পারেন না।
3)তৃতীয় ক্যাটাগরী হচ্ছে.. নর্মাল লেভেল ক্যাটাগরি। জনসাধারণ যা করেন, এরা সেটাই অনুসরণ করেন। সবাই যা করছেন, সবাই যেভাবে থাকছেন, তারা সে ভাবেই থাকতে চান অর্থাৎ তাঁরা জনসাধারণদের অনুসরণ করেন।
কিন্তু আপনি যদি চরম সফল হতে চান, আপনাকে উপরের তিনটি ক্যাটাগরিতে থাকলে চলবে না ।
4)চতুর্থ যেটা ক্যাটাগরি হচ্ছে সেটা হচ্ছে প্রচুর পরিশ্রমী
পর্যায়(massive action level)। এই ক্যাটাগরির লোকেরা জনসাধারণ যা করেন তা তাঁরা করেন
না, এদের নিজস্ব লক্ষ্য রয়েছে।
নিজস্ব লক্ষ্যকে পরিপূর্ণ করতে যা দরকার তাঁরা সেটাই করেন। যদি কেউ
দক্ষ গণিতজ্ঞ হতে চান, তাহলে তাকে অংক করতে হবে, বিভিন্ন
অংকের সমাধান করতে হবে, কঠিন থেকে কঠিনতর অংকের সমাধান করতে হবে,
যদি অংক কঠিন হয় তার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া উচিত নয়।
এমনিভাবে, আপনি যে লক্ষ্য রাখুন না কেন..
লক্ষ্য প্রাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া উচিত নয়।
এবং লক্ষ্য পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। আপনার যা ক্ষমতা তার দশগুণ পরিশ্রম করতে হবে। আপনার যে ক্ষমতা তার দশগুণ বড় লক্ষ্য স্থির করুন
এবং আপনার যা ক্ষমতা তার দশগুণ পরিশ্রম করুন, সেই
লক্ষ্যের পেছনে এভাবে এগিয়ে চলুন। দেখবেন
আপনি সবাইকে ছাড়িয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছেন।
আপনি সফল হবেন আপনার সফলতার জন্য যা দরকার তা করতেই হবে,
যেভাবেই হোক করতে হবে।
“এক্সট্রাঅরডিনারি রেজাল্ট” পেতে
যা করতে হবে তা হল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। কারণ
বড় কাজ করতে গেলে সময় লাগে। আপনার পরিকল্পনার জন্য আপনাকে পুরোপুরি মনোনিবেশ থাকতে
হবে। পুরোপুরি নিয়মমাফিক চলতে হবে। আপনার লক্ষ্যে আপনাকে লেগে থাকতে হবে। আপনার উদ্দেশ্য
সঠিক থাকতে হবে, প্রত্যেকটি পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে
নিতে হবে। পদক্ষেপ নিতে ভয় করবেন না।
ভয়ের প্রধান কারণ হলো ‘কাজটি
করতে পারবো কিনা?”এই নিয়ে সন্দেহ।
অসফল হলে লোকে কি বলবে? লোকে কি বলছে সেসবের পরোয়া করার দরকার নেই কারণ আপনার
প্রয়োজন লোক বুঝবে না। অসফলতা নিয়ে ভয় পাবেন না, অসফলতা হল আপনার সফলতার যাত্রার পথে ছোট্ট ছোট্ট বাধা। আপনাকে
মনে করিয়ে দেয় যে ..আপনি এই স্থানের জন্য তৈরি নন। আপনাকে আরো তৈরি হতে হবে, আপনাকে
আরো জ্ঞান জোগাড় করতে হবে, আরো অভিজ্ঞতা জোগাড় করতে হবে,
আরও প্রয়োজনীয় সাধণ জোগাড় করতে হবে।
অসফল তার মানে এই নয় যে আপনি কোনদিন পারবেন না।
অসফলতার অর্থ হচ্ছে এখনো পর্যন্ত আপনি এই কাজটির জন্য যথেষ্ঠ ভাবে তৈরী নন।
ভয়ের আরেকটি কারণ হলো.. কখনো আপনার মনে হয় যে “আমার হাতে সময় যথেষ্ট নেই”, সময় যথেষ্ট নেই সফল হতে পারব কিনা?” আপনাকে সময় হিসেব করতে হবে না, সময় হিসেব করে আপনাকে থমকে থাকলে চলবে না, আপনার পরিশ্রমের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তার জন্য আপনি বেশি পরিমাণ কাজ করুন। প্রতিদিন বেশি ঘন্টা কাজ করুন, প্রতিদিন বেশি মনোযোগী কাজ করুন, বসে থাকবেন না বসে থাকলেই আপনাকে চিন্তা গ্রাস করবে। ক্রমাগত নিজের কাজ করে যান, আর ফল নিয়ে ভাববেন না, আপনি দশগুণ পরিশ্রম বেড়িয়ে যান, দশগুণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। ধরুন আপনি কোন প্রোডাক্ট অথবা পরিকল্পনা সমাজে পেশ করতে চান, সমাজে নিয়ে আসতে চান। কিন্তু আপনার মনে হচ্ছে আমার থেকে ভালো প্রোডাক্ট বাজারে আগে থেকেই আছে, বা আপনার থেকে আপনার মনে হতে পারে আপনার থেকে ভালো পরিকল্পনা বাজারে আগে থেকেই আছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা নয়। এটা আপনার ভয় বলছে তাই প্রতিযোগিতাকে মন থেকে তাড়িয়ে দিন। যাকে আপনার প্রতিযোগী মনে হচ্ছে তার থেকে 10 গুণ কাজ করুন ।
ক্রমাগত প্রচেষ্টা সময়ানুবর্তিতা এবং সাহস এগুলি
আপনার অস্ত্র, যা আপনাকে সবথেকে ভালো হতে সাহায্য করবে। সব থেকে শিখরে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আরাম দিয়ে অলসতা দিয়ে কোনো কিছু আবিষ্কার হয় না
বা নতুন কিছু তৈরি হয় না। কাজ করতে হবে, ভরপুর
কাজ করতে হবে। নিজের মনের ঘোড়াকে কিছুদিন লাগামছাড়া করুন,
যাতে খুশি মতো এগিয়ে চলতে পারেন, আর আপনাকে
চালাক হতে হবে, স্মার্ট হতে হবে।
নতুন পরিকল্পনা মাফিক নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই এগিয়ে গিয়ে আপনি সফল হতে পারবেন।
আরেকটি কথা হল আপনি যা করছেন আপনি যদি সমাজের জন্য
কিছু ভালো করছেন, বা সমাজের উন্নতির জন্য কিছু করছেন,
সেটাকে প্রচারে আনতে হবে। যত লোক বেশী জানবে, তত
লোক আপনার সাথে সহযোগী হবে, আপনার সাথে সহকর্মী হবে,ফলে সমাজ আরো বড় ভাবে উপকৃত হবে।
উপরের সূত্র গুলি বিখ্যাত Motivational speaker এবং millionaire "গ্রান্ট কার্ডন" এর লেখা বই "THE 10X RULE" থেকে গৃহীত।
যদি “আলোচ্য বিষয়টি” ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই “লাইক” করুন, “কমেন্ট” করুন, “শেয়ার” করুন।
আরো পড়ুন:- How to Set your "Life's Goal". Win Friends and Influence People.
Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes
Motivational And Inspirational Quotes For Success
Dan Lok's Advice For Success , 14 Risks you must take for Success
Finish what you Start. , THE 10X RULE ,
How Success Rule works? , 7 Habits of Highly Effective People ,
চিন্তন করুন এবং সফল হন , কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন ,
জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,
অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,
আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ ,
সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?, জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,
ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি ,
মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস , 11 Qualities of a Successful Person.
ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY Loan , Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev
For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com
1 Comments
That’s why gamers ought to 코인카지노 think about future withdrawals on the initial stage. However, a gaming platform at all times takes a sure proportion of cash deposited by punters . SGHC’s flagship model, Betway, operates as a global, online, sports-led betting model that's consistently positioned in all markets.
ReplyDelete