চিন্তন করুন এবং সফল হোন(Think and Grow Rich):-

ঠিক ভাবে চিন্তন -মনন করলে সফল হবেন:-

Think and grow Rich” বই টি মার্কিন লেখক নেপোলিয়ন হিল এর লেখা । তিনি আমেরিকা র ৫০০ জনের ও অধিক সফল ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন এবং তাদের কাছ থেকে সফলতার যে নিয়ম তিনি খুঁজে পান, সেটাই তিনি এই বই তে লিখেছেন। এই বই এর ই সারবস্তু আজ আলোচনা করবো।

নেপোলিয়ন  হিল বলছেন যে জীবনে ধনী  বা সফল  হতে গেলে সেটা পাওয়ার জন্য মনের মধ্যে প্রচন্ড চাহিদা এবং প্রচন্ড আগ্রহ থাকতে হবে। পাওয়ার জন্য এমন আগ্রহ থাকতে হবে, যেন সেটা পাওয়ার জন্য  নিজেকেসম্পূর্ণ ভাবে  বিলিয়ে দিতে পারেন। এরকম যদি ত্যাগ, এরকম যদি প্রচন্ড চাহিদা থাকে, তাহলে সে কাজে সফল হওয়া সম্ভব। মানুষের অসফল হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে.. কিছুটা করে, একটু আধটু অসফল হলেই “আমার দ্বারা হবে না” এই ভেবে হাল ছেড়ে দেওয়া। কিছু কিছু লোক তো কাজের অবস্থা দেখে শুরুতেই “কাজটি করা অসম্ভব” ভেবে সেটা করতে আর হাত ই লাগান না। কিন্তু যাদের মনে সব সময় একটা বিশ্বাস থাকে যে আমি পারবো, তাঁরা  কাজটা করেন এবং সফল হন।
কোন কিছু পাওয়ার জন্য শুধু ইচ্ছা নয়, জ্বলন্ত চাহিদা থাকতে থাকা দরকার।

 কোন ইচ্ছাকে কার্যকরী করার জন্য 7 টি পদক্ষেপ দরকার:-

 1)প্রথম পদক্ষেপ হলো:- মনস্থ করুন আপনি কি চান, স্পষ্ট  করুন যদি ধনী হতে চান.. তাহলে আপনি কত টাকা পেতে চান? কত বড় ধনী হতে চান? সেটা যেন উল্লেখ থাকে যে.. আপনি 10 লক্ষ টাকা পেয়ে ধনী হবেন, কুড়ি লক্ষ টাকা পেয়ে ধনী হবেন ইত্যাদি। অর্থাৎ আপনি পরিষ্কার করে বলুন আপনি কত টাকা রোজগার করে ধনী হতে চান। 
2)পদক্ষেপ 2 হচ্ছে:-  নির্ণয় করুন, আপনি যে ধনী হতে চান তার পরিবর্তে আপনি কি ত্যাগ করবেন? আপনি যত টাকা রোজগার করতে চান তার বদলে কি সেবা আপনি দেবেন। ফ্রিতে কোন জিনিস পাওয়া যায় না। আপনাকে ত্যাগ করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, সেবা দিতে হবে, শিক্ষার জনক কিছু ট্রেনিং নিতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, তবেই আপনি রোজগার করতে পারবেন।

3)পদক্ষেপ 3 হচ্ছে:- আপনি  যে লক্ষ্য প্রাপ্তি করতে চাইছেন, সেই লক্ষ্য আপনি কত দিনে পূরণ করতে চান তার একটা সময়কাল নির্দিষ্ট করুন। সময়সীমা নির্ধারণ খুব জরুরী কারণ.. সেটা না হলে প্রাণপণ দিয়ে চেষ্টা করা সম্ভব হয় না। 

4)পদক্ষেপ 4 হচ্ছে:-আপনার লক্ষ্য কে কার্যকরী করার জন্য একটা পরিকল্পনা করুন এমন নয় যে পরিকল্পনা 100% ঠিক হতে হবে, এখনো পর্যন্ত জানা সবথেকে ভালো পরিকল্পনা আপনার যেটা  মনে হয় তা প্রয়োগ করুন।  কাজ পরিকল্পনা না করলে এবং সেটা প্রয়োগ  না করলে কোন ফল আসবে না।

5)পদক্ষেপ 5 হচ্ছে:- এক থেকে চার নম্বর পদক্ষেপ পর্যন্ত যা কিছু আলোচনা করলাম সেটা আপনি একটা কাগজে লিখুন। কত টাকা রোজগার করতে চান? পরিবর্তে কি দিয়ে করতে চান?, তার সময়সীমা কত দিন? কত দিনের মধ্যে আপনি সেই রোজগার করতে চান? এবং সেই কাজকে ফলপ্রসূ করার জন্য আপনার পরিকল্পনা কি? সবকিছু একটা কাগজে লিখে ই লেখা টি রোজ দুবার পাঠ করুন, একবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং একবার সকালে ঘুম থেকে উঠে। যখন আপনি একটা পড়ছেন, ঘটনাটি নিয়ে বিশ্বাস করুন যে আপনি লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন।এবং মনে মনে তার চিত্র তৈরি করুন, চিত্র কল্পনা করুন যে আপনি তা পেয়ে গেছেন, এমন চিন্তা করতে করতে মনের মধ্য দিয়ে ছবি পরিকল্পনা করতে হবে।

 6)পরবর্তী পদক্ষেপ হলো ‘অটোসাজেশন’। এটা পড়ার আগেই মনে মনে কল্পনা করতে হবে যেন আপনি এটা পেয়ে গেছেন। এতটা মন দিয়ে চান যাতে তাঁর জন্য আপনি সব কিছু ত্যাগ করতে আগ্রহী বা সব কিছু করতে রাজি। মনে রাখতে হবে কোন কিছু চাওয়াটা শুধু সুযোগ বা ভাগ্য এসবের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। মনে রাখবেন যিনি  বেশি রোজগার করেছেন, যিনি সফল হয়েছেন, তিনি প্রথমে সেটা নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখেছেন, বড় ইচ্ছে করেছেন, সেটা করার জন্য পরিকল্পনা করেছেন, পরিকল্পনা কে  বাস্তব রূপ দিয়েছেন তবে অনেক সফলতা অসফলতার মধ্য দিয়ে  চরম লক্ষ্যে পৌছেছেন।  টমাস এডিসন বাল্ব আবিষ্কার করার জন্য ‘দশ হাজার’ বার চেষ্টা করেছিলেন তবে বাল্ব আবিষ্কার করেছেন। সেরকম জ্বলন্ত চাহিদা থাকতে হবে। মনে রাখবেন তাঁরা কখনো কখনো  খারাপ ফলও  ভোগ করেছেন। ভালো-মন্দ সফলতা অসফলতা এর মাধ্যমে পেরিয়ে, অনেক কষ্ট অনেক পরিশ্রম করে, দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে, অনেক বিসর্জন দিয়ে, তবে সফলতা পেয়েছেন। আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে আপনি পারবেন। যখন অন্যরা করতে পেরেছেন, তখন আপনিও  পারবেন। যে যাই বলুক হয়তো আপনি সেটা পাওয়ার জন্য যদি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি নন, কিন্তু সেটা তৈরি করার জন্য যা কিছু দরকার তা আপনি করলে এবং আপনার প্রচন্ড বিশ্বাস থাকলে, আপনি সেটা করতে পারবেন।
 
7)পরবর্তী  পদক্ষেপ হলো আপনি যা চান সেটা পেতে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা। আপনার মন একটি জাহাজের মত আমাদের মন দুই ধরনের মন দিয়ে গঠিত, সচেতন মন এবং অবচেতন মন। সচেতন মন যে আপনার জাহাজের ক্যাপ্টেন এর মতো এবং অবচেতন মন যে আপনার কর্মীএর মতো। সচেতন মন কিছু করে না শুধু আদেশ দেয়, কিন্তু অবচেতন মন হল আপনার কর্মী। অবচেতন মন এর কাছে স্টিয়ারিং আছে,  স্টিয়ারিং যে দিকে নিয়ে যাবে, জাহাজ সেদিকেই যাবে। অবচেতন মন নিজের ইচ্ছেয় স্টিয়ারিং ঘোরায় না। মনে করুন আপনাকে জুতোর ফিতে বাঁধতে  হবে, বা ব্রাশ করতে হবে, এক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হয় না যে কি করে করব। একবারে ভেবে নিলেন তো শরীর সেটা  আপনা আপনি করতে পারে। সচেতন মন একবার আদেশ দিলে সেটা আপনি আর না ভেবেই করতে পারেন, কারণ সেই কাজটা অবচেতন মন করে, সচেতন মন করে না।  ধরুন আপনি চাইলেন দশ লক্ষ টাকা রোজগার করব, এবার আপনি অবচেতন মনকে শুধু বিশ্বাস করাতে হবে যে 10 লক্ষ টাকা আপনি রোজগার করতে পারবেন, তাহলে অবচেতন মন নিজের দিক নির্ণয় করে নেবে, এবং ওই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। ব্যাপার হলো.. কি করে অবচেতন মনকে বিশ্বাস করাবেন? autosuggestion দ্বারা এই কাজটি করতে হবে। আপনি যেটা লিখেছেন সেটা “পরিকল্পনা চ্যাপ্টার” থেকে পদক্ষেপ 5 পর্যন্ত আপনি যেটা পরিকল্পনা লিখেছেন সেটা পাঠ করুন এবং যখন আপনি পড়ছেন তখন সেটা বিশ্বাস করুন।  মনে মনে সফল হওয়ার চিত্র কল্পনা করুন, যেন আপনি সেই সফলতায় পৌঁছে গেছেন। এবং লক্ষ সফল হলে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, সেটা কাল্পনিকভাবে অনুভব করুন। ধরুন বছরের শেষে আপনাকে 10 লক্ষ টাকা রোজগার দরকার এবং 10 লক্ষ টাকা রোজগার করবেন এবং তার পরিবর্তে আপনি সেলসম্যানের কাজ করতে রাজি, তাহলে বছর শেষ হবার সাথে সাথে আমার কাছ থেকে 10 লক্ষ টাকা আসবে এবং বদলে আমি নিজেকে বেস্ট সেলসম্যান এর সেবা দেবেন। দুটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে.. লেখাটি মন এবং হৃদয় দিয়ে পড়তে হবে। তবে এটা ভাবার দরকার নেই যে কিভাবে লক্ষ্য প্রাপ্তি হবে? শুধু বিশ্বাস করুন যে আপনি লক্ষ্য প্রাপ্তি করবেন। একবার লক্ষ্য অবচেতন মনে স্থান গ্রহণ করবার পর, লক্ষ্য পূরণ হবেই। মনে রাখবেন হৃদয় দিয়ে প্রতিদিন চিন্তন করে যেতে হবে।
 
  জ্ঞান দুধরণের হয়, একটা সাধারণ জ্ঞান, আর দ্বিতীয় টা হলো বিশেষ জ্ঞান। সাধারণ জ্ঞান হলো অনেক কিছু বিষয়ে অনেক কিছু জ্ঞান থাকা, যেটা স্কুলে শেখানো হয়। আবার বিশেষ জ্ঞান  হল যে কোন একটি বিষয়ে বা একটি স্পেশাল বিষয়ে জ্ঞান থাকা। সাধারণ জ্ঞান আপনার কাছে যতই থাকুক না কেন বেশি কাজে আসে না। আপনার স্কুল কলেজ ডিগ্রী অতটা কাজের নয়। লেখক বহু জ্ঞান জোগাড় করতে বলেছেন।  তিনি বলছেন শিক্ষিত ব্যক্তি যিনি যার কাছে এতটাই স্পেশালাইজ নলেজ থাকুক যে লক্ষ্যকে প্রাপ্তি  করা যায়।  নেপোলিয়ন হিল  “সেবা”র কথা বলেছেন যে সেবার পরিবর্তে আপনি সেই লক্ষ্য প্রাপ্তি পাবেন।  সেই সেবাকে ফলপ্রসূ করার উদ্দেশ্যে বিশেষ জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে।  কিছু করুন.. অনলাইন ট্রেনিং নিন, বা বিশেষ জ্ঞান শিখুন  এবং পরিকল্পনামাফিক প্রয়োগ করুন। প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার সফল হতে পারেন বা সফল নাও হতে পারেন, কিন্তু বিশেষ জ্ঞান  প্রয়োগ করতে করতে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এমন জ্ঞান পাবেন, যে আপনার লক্ষ্য পূরণ করতে  পারবেন।  আপনার কাছে যদি সেই বিশেষ জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি সেই বিশেষ জ্ঞানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়ে এসে  কাজটা করান। জরুরি নেই যে স্পেশাল নলেজ আপনার কাছেই থাকতে হবে, পরিবর্তে  সে বিষয়ে যিনি  জ্ঞানী ব্যক্তিতাকে নিয়ে এসে কাজটা করান। সেই জ্ঞানী ব্যক্তিদের কি ভাবে পরিচালনা করতে হয় সেটা আপনাকে শিখতে হবে। 
                                                                 

          

অনেকে বলেন যে জ্ঞানের প্রচন্ড ক্ষমতা থাকে, কিন্তু জ্ঞানের যে ক্ষমতা তা সূপ্ত থাকে। জ্ঞানের ক্ষমতা তখনই ফলপ্রসূ হবে যদি যদি সেটা প্রয়োগ করা হয়। দুটি জিনিসের দরকার, স্পেশাল করে সেটা বই পড়ে হোক অথবা  ট্রেনিং নিয়ে হোক, যেভাবেই হোক অর্জন করে, অথবা কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে ‘হায়ার’ করে তার সাহায্যে কাজটা করান। 
 “স্পেশাল নলেজ” কিভাবে ব্যাবহার করা যায় তার বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

 ইমেজিনেশন দুই ধরনের হয়:-
1) ‘সিন্থেটিক ইমেজিনেশন’  অর্থাৎ পুরনো  জ্ঞান কে ব্যবহার করে তাকে ‘মডিফাই’ করে নতুন কিছু তৈরি করা।
 2)দ্বিতীয় হচ্ছে ‘ক্রিয়েটিভ ইমেজিনেশন’ । যখন কোন  কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে  না, তখন তাকে নতুন ভাবে করতে হবে, এটাই ক্রিয়েটিভিটি। ধরুন এক লক্ষ টাকা রোজগার করতে হবে এটা করার জন্য এক লক্ষ টাকার জন্য আপনি পরিকল্পনা করলেন ।, আমরা জ্ঞান প্রয়োগ করে তবেই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। , সিন্থেটিক ইমেজিনেশন’ দিয়ে নতুন প্ল্যান তৈরি করা হয়। আপনি যতই চিন্তা শক্তি প্রয়োগ করুন, আপনার চিন্তাশক্তি ততই প্রবল হবে।  


একটা দল গঠন করুন। মাসিক বেতন এর পরিবর্তে একটা দল গঠন করুন। ধরুন আপনার দলে এক ব্যক্তি  আছেন তিনি  কাজে খুব ভালো, কিন্তু সে দলের অন্য সদস্যদের সম্মান করেন না,অন্য সদস্যদের সাথে মিলেমিশে কাজ করেন না, এমনকি অন্যদের মতবাদের সম্মান করেন না, তাহলে  ওই ব্যক্তিকে দল থেকে বের করে দেওয়া দরকার।  এমন ব্যক্তিকে দলে রাখা দরকার নেই যে দল কে সহযোগিতা করে না বা দলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে না। দলগত ভাবে কাজ করা খুব দরকার। আবার ধরুন দল খুব ভালো কাজ করছে কিন্তু খুব একটা ভালো  ফল আসছে না এরকম ফল হওয়ার কারন কোথাও ভুল আছে। হয়তো দল শুধু নিজের রোজগার দেখছে,উপভোক্তার রোজগার দেখছে না।  তাই পরিকল্পনা বদল করা হল এবার শুধু দলের কথা নয় ,উপভোক্তার কথা ও ভাবা হচ্ছে ,তবু দেখা গেলো রোজগার কম আসছে।

এবার  নতুন যন্ত্রপাতি প্রয়োগ করে ,কাজের গতিবেগ বাড়িয়ে দেওয়া হলো, এবার ধরুন ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছিল। ধরুন রাম এর ব্যবসা ভালোই যাচ্ছিলো ,হঠাৎ বাজারে শ্যাম ওই ব্যবসা নিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা শুরু করলো। ধরুন শ্যাম এর কাছে ভালো দক্ষ দল আছে,বেশি পুঁজি আছে ,ভালো পরিকল্পনা আছে  কিন্তু ভালো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই ফলে শ্যাম রাম এর ব্যাবসায় সাথে পেরে উঠছে না ।

একবার ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিলে সেটাকে প্রয়োগ করে না দেখা পর্যন্ত পরিকল্পনা বদল করার দরকার নেই। অসফল ব্যক্তিরা পরিকল্পনার প্রয়োগ না করেই বারবার পরিকল্পনা বদল করেন এবং মূলত কিছুই ভালোভাবে করেন না। অনেকের কাছে ভালো ভালো পরিকল্পনা থাকে কিন্তু নির্ণয় বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভাব থাকায় পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে পারেন না। অনেকে আবার মাঝরাস্তায় কঠিন ভেবে কাজ করতে ছেড়ে দেন। হাল না ছেড়ে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাওয়া দরকার।

ধরুন প্রথমবার পরিকল্পনা প্রয়োগ করলেন কিন্তু সেটা ভালো ফল দিলো না, আবার দ্বিতীয় বার নতুন পরিকল্পনা প্রয়োগ করলেন সেটাও ব্যর্থ হলো, তৃতীয় বার আবার নতুন ভাবে চেষ্টা করলেন সেটাও কার্যকরী হলো না। এবার চতুর্থবার নতুন পরিকল্পনা প্রয়োগ করলেন সেটা দিয়ে রোজগার আসতে থাকলো। এমনি হতে পারে সব পরিকল্পনাই সফল হয় না। পরিকল্পনা ব্যর্থ ও হয়, তাই হাল ছেড়ে দিলে চলবে না, ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মনের মধ্যে জেদ থাকতে হবে যে নিজের লক্ষ্যে পৌছাবই।  মনের মধ্যে জ্বলন্ত চাহিদা থাকতে হবে। হার মানা চলবে না।

এই মহা বিশ্ব দুটি জিনিস দিয়ে তৈরি একটি হলো বস্তু এবং অপরটি  হলো শক্তি। বস্তু বলতে বোঝায়.. বই, খাতা, পেন ,মাটি,মানুষ জীব জন্তু পাহাড় পর্বত ইত্যাদি যা চোখে দেখা যায়। দ্বিতীয় জিনিস হচ্ছে শক্তি  বা ক্ষমতা। শক্তি বা ক্ষমতার মাধ্যমে এই সৃষ্টির সবকিছু তৈরি হয়।আমাদের মস্তিস্ক বার্তা গ্রাহক এবং বার্তা প্রেরক এর কাজ করে। আমাদের মস্তিস্ক এই মহাবিশ্বে চিন্তন বার্তা পাঠায় এবং চিন্তন বার্তা মহাবিশ্ব থেকে গ্রহণ ও করে।  যখন মস্তিস্ক  কোনো বস্তু তৈরি করার জন্য  চিন্তন বার্তা মহাবিশ্বে পাঠায় তখন এই সৃষ্টি ওই চিন্তন কে গ্রহণ করে ওই বস্তু কে বাস্তবায়িত করে, এবং ওই সব বস্তুই আমরা জীবনে দেখতে পাই, অনুভব করতে পাই।  একে "আকর্ষণ শক্তি" ও বলা হয়। চিন্তন শক্তি আমরা কোথা থেকে প্রেরিত করি? আমাদের অবচেতন মন থেকে চিন্তন বার্তা মহাবিশ্বে প্রেরিত হয়।  তাই auto suggestion  chapter এ বলা আছে যে পুরোপুরি বিশ্বাস এর সহিত বার্তা দেওয়া দরকার। একবার যদি অবচেতন মন এ ওই বার্তা বসে যায়, তাহলে মস্তিস্ক ওই বার্তা কে এই সৃষ্টি তে প্রেরিত করে এবং ওই বার্তা মহাবিশ্বে র ওই বার্তা সম্পর্কীয় সব বস্তু কে আকর্ষণ করে। এভাবে আপনার অবচেতন মন কাজ করে লক্ষ্য বস্তু কে বাস্তবায়িত করে। 

Master Mind Group:- একজন জ্ঞানী ব্যক্তির থেকে অনেকজন জ্ঞানী ব্যক্তি একসাথে কাজ করলে বেশি ফল পাওয়া যায় এক্ষেত্রে ১+১=২ হয় না ১+১=২,৩,৪, যে কিছুই হাতে পারে অর্থাৎ একজন জ্ঞানী যা করতে পারেন , দুইজন জ্ঞানী তার দ্বিগুন কাজ করতে পারবেন এমন নয়, সেটা তিনগুন,চারগুন যা কিছুই হতে পারে, এটাই হলো "মাস্টার মাইন্ড গ্রুপ" এর  জাদু। সেই জন্যে খুব বড়ো পরিকল্পনা কে বাস্তিবায়িত করতে অনেকজন জ্ঞানী ব্যক্তির একটি দল রাখা দরকার, তাহলে কাজ টি খুব সহজেই বাস্তবায়িত করা যায়।

আমাদের অবচেতন মন কে সঠিক দিশা দেওয়ার জন্যে ক্রমাগত অভ্যাস করতে হবে। এবং অবচেতন মন কে যদি ক্রমাগত সঠিক পথে চালিত না করা হয়, তাহলে এই সৃষ্টি তে যে সব ঋনাত্বক বার্তা ঘুরছে তা অবচেতন মন এ জায়গা দখল করবে। এবং পরে মস্তিস্ক থেকে ঋনাত্বক বার্তা মহাবিশ্বে পাঠাবে।  যার ফলে আমাদের জীবনে খারাপ ফল পাওয়া যাবে এবং আপনাকে ভুল এবং ক্ষতিকারক এবং দরিদ্রতার পথে নিয়ে যাবে। তাই নিজের মন কে সবসময় ধনাত্বক রাখা জরুরি, এবং গঠনমূলক ভাবনা চিন্তা করা জরুরি।


বইটিতে আরও অনেক শিক্ষা মূলক নীতি রয়েছে, “থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ” বইটি সবাইকে পড়া দরকার। 

বিষয়টি ভালো লাগলে অবশ্যই “লাইক” করবেন “শেয়ার” করবেন।  ধন্যবাদ।।



আরো পড়ুন:Finish what you Start.  How to set your goal? ,  THE 10X RULE

                      How Success Rule works? ,  7 Habits of Highly Effective People ,

                      Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success ,  How to "IKIGAI"?

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস , 11 Qualities of a Successful Person.

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev

                       আকর্ষণের সূত্র  , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র , 


For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com

   




Post a Comment

0 Comments