কিভাবে অন্যজনের মন জয় করবেন এবং অন্যজনকে প্রভাবিত করবেন(How to win friends and influence People) :-

 বন্ধু লাভ  করুন এবং অন্যজনকে কে প্রভাবিত করুন :-

আপনি জীবনের যে দশাতেই থাকুন না কেন, যে দেশেই থাকুন না কেন, যে পেশাতেই থাকুন না কেন, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, জন  সম্পর্ক আপনার কাছে সর্বদাই গুরুত্ব পূর্ণ। অন্যের সাথে ব্যবহার আপনার অবস্থান নির্ণয় করে। পেশা হোক,  বা চাকরি হোক, বা পারিবারিক সম্পর্ক হোক, বা সামাজিক সম্পর্ক,অথবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সম্পর্ক, সবকিছু তে আপনি কতটা উঁচু  স্তরে যেতে পারবেন সেটা বেশির ভাগটাই নির্ভর করে আপনি অন্যদের সাথে কেমন সম্পর্ক রেখেছেন তার উপর। অন্যের হৃদয় জয় করতে জানতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব। প্রত্যেকের প্রত্যেকের সাথে রয়েছে সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা। তাই অপরের সাথে আপনি কিরকম সম্পর্ক রাখেন তার উপরেই আপনার সফলতার বেশিরভাগটাই নির্ভর করে। "ডেল কার্নেগি" একজন "সফল মানবিক সম্পর্ক বিশিষ্ট দক্ষ ব্যক্তি" যিনি তার বই HOW TO WIN FRIENDS AND INFLUENCE PEOPLE এ কিভাবে অন্যের সাথে সম্পর্ককে ভালোভাবে গড়া যায়, কি ভাবে অন্যের হৃদয় জয় করা যায়, সে সম্পর্যে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ এবং উপদেশ দিয়েছেন, সেসব নিয়েই আজ আলোচনা করবো।

1) কোনো ব্যক্তি যা হতে চান বা যা পাবার চেষ্টা করছেন তা তাকে পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করুন। স্বাস্থ্য, খাদ্য, ঘুম, টাকা, এসব ছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যার জন্য মানুষ খুবই আগ্রহী, তা হলো নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ লোক হিসাবে প্রমান করা। সমাজে তিনি নিজের সম্মান পান সেটা সবারই ইচ্ছা আছে। MUNNA BHAI M.B.B.S সিনেমাতে দেখাচ্ছে যে একটি শুধু মাত্র জাদু কি ঝাপ্পি দেওয়াতে (আলিঙ্গন করা ) এবং ধন্যবাদ দেওয়া তে মুন্না একজন ঝাড়ুদার এর হৃদয় জয় করে নেন।

আমাদের সম্পর্ক এর মধ্যেও এমন হয়। যদি আমরা ছোট ছোট উপকার এর জন্য ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাই যার কারণে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। পরনিন্দা করার জন্য লোক অনেক পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো ব্যক্তির ভালো কর্মের জন্য তাকে যদি ধন্যবাদ করা হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি খুব খুশি এবং গর্ব অনুভব করেন,  নিজেকে গুরুত্বপর্ণ অনুভব করেন। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করানো গেলে তার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। তাই কারো সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে তার কৃত ভালো কর্মের জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করা অবশ্যই দরকার ।

2)যখন কোনো ব্যক্তি কোনো কাজ করতে রাজি নয় তখন তাকে জোর করে করানো ভালো পদ্ধতি নয়। তাকে বুঝিয়ে মানিয়ে কাজ করানোই বুদ্ধিমানের কাজ। যখন কাউকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে হবে তখন আপনি কি করতে যাচ্ছেন তা বললে তিনি আগ্রহান্বিত নাও হতে পারেন, কিন্তু ওই কাজ টি করে ওই ব্যক্তি কি লাভবান হবেন, তা যদি বোঝাতে পারেন, তাহলে দেখবেন ওই ব্যক্তি কাজটি করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। একটি ঘটনা দিয়ে ব্যাপার টা বোঝার চেষ্টা করি। ডেল কার্নেগীকে যে হোটেল এ প্রেজেন্টেশন দিতেন সেই হোটেল এর মালিক তার রুম চার্জ তিনগুন বাড়িয়ে দেন। যখন তিনি সেই খবর পান ততক্ষনে সেই সেমিনার এর সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি হোটেল ম্যানেজার এর সাথে দেখা করেন এবং তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন। তিনি হোটেল ম্যানেজার কে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপার টা গভীর ভাবে ভেবে দেখতে বলেন। তিনি সরাসরি ম্যানেজার কে ভাড়া কম করতে বলেন নি।  তিনি ম্যানেজার কে ডেল কার্নেগীকে রুম ভাড়া বাড়ানোয় হোটেল ব্যবসার কি লাভ বা ক্ষতি হবে তা ভেবে দেখতে বলেন। তিনি বলেন ভাড়া বাড়ানোয় আপনার লাভ বাড়বে ঠিক কিন্তু আমি এই ভাড়া বাহন করতে পারবো না ফলে আমি অন্য হোটেল এ গিয়ে প্রেজেন্টেশন  দেব। আমার সেমিনার এ শহরের উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা আসেন যা আপনার হোটেল এর একটা বিজ্ঞাপন করে দেয়। যদি আপনি ৫০০ ডলার দিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তাহলেও এতলোক আপনার হোটেল এ আসবে না যতটা লোক আমার  সেমিনার এ আসে। এটাআপনার ক্ষেত্রে বড় লাভ, এর মধ্যে দিয়ে আপনি অনেক অতিথি পাবেন যারা আপনার হোটেল এ থাকবে। অতএব আপনি লাভ-লোকসান এর ব্যাপারটা ভেবে দেখুন এবং আমার রুম চার্জ বাড়ানোর ঘটনা নিয়ে ভাবুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। এই বলে তিনি চলে যান। দ্বিতীয় দিন হোটেল ম্যানেজার এর চিঠি তার কাছে আসে যে.. তার রুম চার্জ ৩০০% না বাড়িয়ে শুধু ৫০% বাড়ানো হয়েছে। ঘটনা টি থেকে বুঝা যায় যে অন্য ব্যক্তি কে রাজি করতে হলে ওই ব্যক্তিকে তাঁর নিজস্ব উপকার সম্বন্ধে অবগত করতে হবে।

3) আপনারকে অন্য ব্যক্তির সমর্থন পেতে গেলে সত্যি সত্যি তার কাজ বা তার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে আগ্রহী হতে হবে। অনেকেই এমন করেন অন্যের কাছে নিজের আকর্ষণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্যের কাছে নিজের সম্বন্ধে বাড়িয়ে বাড়িয়ে কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা কাজ করে না। বেশির ভাগ ব্যক্তিই চান না যে সামনের ব্যক্তি তাঁর থেকে বড় বা ভালো হন।সকল ব্যক্তির মনেই এমন চিন্তা থাকে যে তিনি   নিজেকে অন্যের থেকে ভালো দেখাতে চান এবং প্রশংসা কুড়োতে চান। তাই লোকের সাথে যদি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চান তাহলে লোকের জন্যে ভাবুন, অন্যের জন্যে ভাবুন। অন্যকে তার দরকারে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। হৃদয় দিয়ে তাঁর ব্যাপারে আগ্রহ রাখুন। এমনকি যখন কারো সাথে  কথা বলছেন তাঁর বিষয়ে কথা বলুন এবং  তাঁকে কথা বলতে প্রাধান্য দিন। তাঁদেরব্যাপারে তাঁদেরই বলতে দিন।তাঁকে তাঁর বিষয়ে বলতে উৎসাহিত করুন। আপনি সেটা মনোযোগ সহকারে শুনুন। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করান। তাঁর সম্পর্কে কথা বলুন নিজের সম্পর্কে নয়,  দেখবেন ব্যক্তি আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে। আপনি ২৫% কথা বলুন এবং সামনে যাঁর সাথে কথা বলছেন তাঁকে ৭৫% কথা বলতে দিন। নিজে ভালো শ্রোতা হন। দেখবেন এর ফলে আপনার তাঁর সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।

                                           


  

4) কারো সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে হলে তাঁর সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী হন। তাঁর সম্পর্কে যদি জানেন বুঝেন তাহলে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি তিনি কোনো বিষয়ে রাজি না হন বা রাগ করেন তাহলে আগ্রহ সহকারে তার সম্বন্ধে জানুন,  শুনুন,  তাকে প্রাধান্য দিন, দেখবেন তিনি তার সমস্যা সব খুলে বলছেন। আপনি প্রকৃত কারণ টা জানতে পারবেন কেন তিনি অসন্তুষ্ট আছেন।এভাবে তাঁর সাথে সম্পর্ক ভালো হবে। 

5) যদি কেও কোনো আলোচনার বিষয়ে সমর্থন করছেন না তাহলে তাঁর বিষয়ে জানুন তিনি কি কারণে সমর্থন করছেন নাএক্ষেত্রে এমন করুন, আপনি প্রথমে তার বিষয়ে  তার যুক্তি কে স্বীকার করুন। হ্যাঁ শুধু স্বীকার করতে বলা হচ্ছে অনুসরণ করতে নয়। যখনই আপনি তার মন্তব্য কে স্বীকার করলেন তখনি তার সাথে আপনার তর্কবিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে গেলো। এবার আপনি ঠান্ডা মাথায় তার কাছে আপনার বিষয়ে জানান, আপনার যুক্তি বিষয়ে আপনি তাকে জানান। দেখবেন এবার তিনি আপনার বিষয়ে মনোযোগ সহকারে শুনবেন। 

 6) যখন কারো সাথে কথা বলছেন,  তখন তাঁর বিষয়ে কথা বলুন। তিনি যে বিষয়ে বেশি আগ্রহী সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। তিনি যদি ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী তাহলে ক্রিকেট খেলা সম্বদ্ধে কথা বলুন। যদি তিনি ফুটবল নিয়ে আগ্রহী তাহলে ফুটবল নিয়ে কথা বলুন। এভাবে তাঁর আগ্রহ নিয়ে কথা বললে দেখাবে তিনি আপনার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখছেন,  তিনিও আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এবং আপনাকে পছন্দ করছেন। তিনি কি চান বা তিনি কি পছন্দ করেন সেই বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে।

7) অন্যকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে হলে সোজাসুজি আদেশ না দিয়ে তাঁকে প্রশ্নবাচক পদ্ধতিতে বলতে পারেন। ধরুন রাজীব কে পাঠাতে হবে একটি চিঠি নিয়ে সঞ্জীব এর কাছে। তাহলে আপনি সোজাসুজি এমন ভাবে বলবেন না "রাজীব এই চিঠিটা সঞ্জীব কে পৌছে দে জরুরি বিষয় আছে। "পরিবর্তে বলুন "রাজীব এক কাজ করবি? এই চিঠিটা সঞ্জীব কে পৌছে দিবি?খুব জরুরি বিষয় আছে। "দুটি কথাতেই তাকে কাজটি করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রথম টি তে সম্পর্কের ভাব নেই মনে হয় যেন সেটা চাকর মালিক সম্পর্ক। কিন্তু দ্বিতীয় টিতে তাকে কাজ টি করতে বলা হলেও সেই কথায় একটা গভীর সম্পর্কের অনুভব আছে।একটা নিকট সম্পর্কের ভাব আছে।

8) অন্যের ব্যাপারে সমালোচনা করতে হলে তাঁর আগে আপনারও সমালোচনা করতে হবে যাতে সেই ব্যাক্তি নিজেকে খুব খারাপ অনুভব না করেন। উদাহরণ দিয়ে দিয়ে দেখা যাক। ধরুন রাজীব একটা হিসাব ভুল করেছ। তখন এমন বলবেন না " রাজীব, এটা কি করলি? কাজ করার ঢঙ নাই? এতো পড়াশুনা করে  ছোট্ট একটি হিসাব করতে পারিস না ? কি টোকাটুকি করে পাস করেছিস নাকি ? হিসাব করতে জানিস না?"

পরিবর্তে বলুন "রাজীব, এমন হিসাব ভুল করো না। তোমার একটা দায়িত্ব আছে। একটা ভুল আমাদের অনেক বড় লোকসান করতে পারে। এতো পড়াশুনার যোগ্যতা থাকতে হিসেবে ভুল করলে লোক কি বলবে? হিসেবে ভুল করো জানলে লোক তোমাকে ভরসা করবে না। তুমি লোকের কাছে  বিশ্বাস হারাবে।মানুষ  মাত্রেরই ভুল হয়। আমার ও ভুল হয়। কিন্তু বারবার ভুল হাওয়া উচিত নয়। সাবধান থাকো যেন দ্বিতীয়বার ভুল না হয়।"

 দ্বিতীয় পদ্ধতি তে রাজীব এর সমালোচনা হলেও তাকে অসম্মানিত করা হয় নি। তাকে নিচু ভাবে দেখানো হয় নি। অথচ তাঁর সমালোচনা ও হয়েছে এবং সাবধান করা হয়েছে, কিন্তু তাঁর সম্মান কে আঘাত করা হয় নি।

9) করো সাথে কথাবলার সময় তাঁর নাম ধরে ডাকবেন বা নাম ধরে বলবেন। কোনো ব্যক্তির কাছে তাঁর নাম খুব প্রিয়।তাই কথাবলার সময় মাঝে মধ্যে ব্যক্তির নাম উচ্চারণ করলে ওই ব্যক্তি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।

10) কেউ  ছোট খাটো ভুল করলে তাকে লোকের সামনে ডেকে অপমান করবেন না তাকে আলাদাভাবে ডেকে তার ভুল সম্বন্ধে অবগত করান এবং ভুল শুধরাতে বলুন ভুল যেন দ্বিতীয়বার না হয়, সে ব্যাপারে সাবধান করে দিনতাঁকে ভুল শোধরানোর সুযোগ দিন। তিনি যে ভুল শোধরাতে পারবেন তারজন্য মনোবল দিন 

11) প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে  ভুলবেন না

12) অন্যের পরামর্শ বা মতবাদ কে সম্মান দিন

13) তর্ক জিতে লাভ হয় না বরং অন্যের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়। তাই তর্ক বিতর্ক সরিয়ে ফেলুন

 14)কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় তার কোনোও গুন্ থাকলে বা প্রশংসনীয় কিছু থাকলে তার প্রশংসা করতে ভুলবেন না প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজের প্রশংসা পেতে ভালোবাসেন 

15)সবসময় হাসিখুশি থাকুন। চেহারাতে যেন সবসময় আত্মবিশ্বসের ছাপ ফুটে থাকে। লোক আপনাকে পছন্দ করবে   


বিষয়ের সারবস্তু ডেল কার্নেগীকে র লেখা বই  "HOW TO WIN FRIENDS AND INFLUENCE PEOPLE"থেকে গৃহীত ।  বইটিতে তিনি  অন্যের সাথে কথা বলার , অন্যের সাথে  সম্পর্ক স্থাপন করার , এবং অন্যের হৃদয় জয় করার যে কৌশল তা বলেছেন।  বইটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বইতে "জনসম্পর্ক বৃদ্ধি" করার জন্য আরও  শিক্ষামূলক উপদেশ রয়েছে। "জনসম্পর্ক স্থাপন" বিষয়ক যতগুলি বই আছে তাঁর মধ্যে এই বইটি অন্যতম। বইটি অবশ্যই পড়বেন।



আরো পড়ুন:How to Set your "Life's Goal".       How to Attain "SELF-MASTERY"

                      Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      Finish what you Start. ,  THE 10X RULE ,  

                      How Success Rule works? ,  7 Habits of Highly Effective People ,

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev



For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com



       

Post a Comment

0 Comments