সফলতা পাওয়ার জন্য কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Few Important rules for success):-

 

জীবনে সফল হতে গেলে এইবিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার :-

জীবনে অনেকেই অনেক কিছু করতে চান। চেষ্টাও করেন। অনেকে নিজের জন্যে করেন বা কেও সমাজের জন্যে করেন। তা সে যাই হোক না কেন, যখন কেও কিছু করেন, দেখা যায় কিছু লোক সফল হন, আবার বেশির ভাগ লোক অসফল  হন। কেন এমন হয় যে কিছু লোক সফল হন কিন্তু কিছু লোক সফল হন না ?   এর কারণ আজ আলোচনা করা যাক।

জীবনে আপনি কি করবেন বা কি করতে চান, সেটার যদি নির্দিষ্ট দিশা নির্ণয় করা না থাকে, তাহলে আপনি সফল হাতে পারবেন না। জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতেই হবে। আপনি কি করবেন তার যদি বিষয় বা দিক নির্ণয় না থাকে, তাহলে কোথায় কোনদিকে যাবেন?  একজন যাত্রী যখন ট্রেন স্টেশন এ টিকেট কাউন্টারএ টিকেট কাটতে দাঁড়ান তখন তার পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া থাকে তিনি কোন জায়গা যাওয়ার জন্যে তিনি টিকেট কাটবেন?, কোন ট্রেন এ টিকেট কাটবেন ?,রিজারভেশন এ যাবেন, না জেনারেল কামরায়?  কখন যাবেন?  এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া থাকে, তবেই তিনি টিকেট কিনতে পারেন। আর যদি কোথায় যাবেন তা স্থির  করা না থাকে তাহলে টিকেট মাস্টার আপনাকে টিকেট দিতে পারবেন কি?  না একদম পারবেন না। আর আপনার যাওয়াও হবে না যদি গন্তব্যস্থল জানা না থাকে। কোথায় যাবেন? কিভাবে যাবেন? কখন যাবেন? এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থাকতে হবে। ।তেমনি কি করবেন?  কিভাবে করবেন? কখন করবেন? কেন করবেন? এসব নির্দিষ্ট থাকা দরকার আছে । 

আপনার যাই লক্ষ্য নির্ধারণ করুন সেই লক্ষ্য যেন বড় হয়। আপনার যা যোগ্যতা বা ক্ষমতা তার ১০গুন বড় লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই সেটাকে পাওয়ার জন্য সেটার জন্য যখন কাজ করবেন, আপনাকে অনেক নতুন জ্ঞান অর্জন করতে হবে ,নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এসব যখন আপনি অর্জন করবেন,  আপনার মধ্যে যোগ্যতার বিরাট পরিবর্তন হবে, যা আপনাকে স্থায়ী ভাবে সমাজের উঁচু স্থানে নিয়ে যাবে।

আপনি যে কাজটাই করবেন সেটা সম্পন্ন করার জন্যে সেই বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করা দরকার,জ্ঞান অর্জন করা দরকার। এই শিক্ষা বা জ্ঞানই তাঁকে গন্তব্যস্থলের পথ তৈরি করতে সাহায্য করবে। পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করবে। প্রয়োজন সাধন বস্তু জোগাড় করতে সাহায্য করবে।প্রয়োজনীয় জনবল গঠন করতে সাহায্য করবে।

আপনি যাই করতে লক্ষ্য নির্ণয় করুন সেটা করার জন্যে নিয়মানুবর্তিতা খুব প্রয়োজন। একটা কথা আছে গাইতে গাইতে গলা এবং বইতে বইতে নালা। অৰ্থাৎ আপনি যদি নতুন কিছু করতে চান, তাহলে সেটা ফলপ্রসূ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। ক্ষ্য বস্তু প্রাপ্তির জন্য নিয়ম মাফিক, পরিকল্পনা মাফিক এবং ধারাবাহিক ভাবে কাজ করতে হবে। নিজেকে সংযত রাখতে হবে। অযথা সময় নষ্ট করা চলবে না। সময় খুব মাল্যবান। সময়ের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।

স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে। আপনার লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য যাই অভিজ্ঞতা থাকুক, দক্ষতা থাকুক,  জ্ঞান থাকুক, যত ভালোই পরিকল্পনা থাকুক, কিন্তু যদি স্বাস্থ্য যদি ঠিক না থাকে, তাহলে সবকিছুই স্থগিত হয়ে যাবে। তাই বলি নিজের স্বাস্থ্য এর যতন নেওয়া খুব দরকার। এবং তার জন্য প্রতিদিন পুষ্টিকর আহার খেতে হবে। নেশাজাত দ্রব্য গ্রহণ করা চলবে না। উপযুক্ত শরীরচর্চা করতে হবে, নিয়মিত   প্রতিদিন ব্যায়াম, প্রাণায়াম করতে হবে।

একজন ব্যক্তি তাঁর বাল্যকাল কেমন পরিবেশে কেটেছেন সেটা তাঁর জীবনে বিরাট একটা ছাপ ফেলে, যা চরিত্র গঠনে খুব বড় ভূমিকা গ্রহণ করে।

যে ব্যক্তি ভালো  চরিত্রের হন তাঁর জীবনী দেখলে দেখা যায় তিনি এমনই  পরিবেশে বড় হয়েছেন যা তাঁর সেই চরিত্র গঠন করেছে। তাঁর বাবা, মা, বাড়ির গুরুজন, বয়োজ্যেষ্ঠ তাঁকে সেই ভাবেই সংস্কার দিয়েছেন ,ভালো নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন, ভালো-মন্দ বুঝতে শিখিয়েছেন, উচিত অনুচিত বুঝতে শিখিয়েছেন,  আদর, যত্ন,  প্রেম,  ভালোবাসা দিয়েছেন,  যার জন্য তিনি ভালো চরিত্রের ব্যক্তি হয়েছেন। অন্যদিকে যে ব্যক্তি বড় হয়ে অত্যাচারী,  নিষ্ঠুর হয়েছেন বা বড় বড় অপরাধ করেছেন তাঁর জীবনী দেখলে পাওয়া যাবে যে তাঁর বাল্যকাল তিনি সেই সংস্কার পান নি যা তাঁর চরিত্র ভালো করতো। হয়ত তিনি অযত্নে বড় হয়েছেন, তাঁর চরিত্র গঠনে কেও ধ্যান দেন নি, তাই অযত্নের পরিবেশে থেকে গিয়ে যা সংস্কার তিনি পেয়েছেন সেই চরিত্রই ফুটে উঠেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে। ছোটবেলা থেকেই হয়ত তিনি  চুরি করেছেন ,মারপিট করেছেন,অন্যের সাথে ঝগড়া করেছেন ,তাঁকে তাঁর বাবা মা অথবা পাড়া পড়শী কেও বাধা দেয় নি, বা সঠিক দিশা দেখায় নি, অথবা তিনি জীবনে প্রেম ভালোবাসা পান নি,  যা তাঁর চরিত্র কে দয়াহীন বা নিষ্ঠুর করে তুলেছে। সেই জন্যেই বলি সব ছেলে মেয়েকেই বাল্যজীবনে সঠিক সংস্কার দেওয়াটা অত্যন্ত দরকারি।

 

নিজের লক্ষ্যে অসফলতার একটি খুব বড় কারণ হলো কাজ করতে অযথা দেরি করা। সবকাজ সময়মতো পরিকল্পনা মাফিক করা দরকার। যদি ঠিক সময়মতো বা সুযোগমতো না করা যায় দেখা যায় অনেক সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়, যা জীবনে ব্যর্থতা নিয়ে আসতে পারে। অনেকেই কোনো কাজ করতে গেলে শুভমুহূর্ত এর অপেক্ষা করেন, এবং এইসব কারণে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন।

অনেকে আবার নতুন পদক্ষেপ নিতে ভয় পান সেই জন্য পদক্ষেপ নেন না। একটা জিনিস পরিষ্কার মনে রাখতে হবে যে সময় শুভ বা অশুভ হয় না। শুভ বা অশুভ হয় তাঁর কর্ম। তাই সময় বা মুহূর্ত কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা যা পাই তা আমাদের কৃত কর্মেরই ফল। আর যদি ভয় এর কথা বলতে হয় তাহলে বলি ভয় করলেও নিজের কর্ম থেকে বিরত থাকা চলবে না। ভয় কে অতিক্রম করে নিজের কর্ম করে যেতে হবে। যেটা করতে ভয় পাচ্ছেন সেটা ই করুন দেখবেনা ভাই পালিয়ে গেছে। সেই কাজটা করতে ভয়  লাগে যে কাজটা  সম্বন্ধে পুরোপুরো জানা নেই, অথবা সে কাজটা করার যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটা নেওয়া হয় নি। 

আপনি যে কাজটা সম্বন্ধে ভই পাচ্ছেন সেটা সম্বন্ধে জানুন,  সেটা করতে যা প্রস্তুতি দরকার সেই প্রস্তুতি নিন এবং পদক্ষেপ নিন দেখবেনা ভয় পালিয়ে গেছে। যখনই আপনি কোনো নতুন পদক্ষেপ নেন,  বা নতুন অজানা জায়গা যান, অজানা লোকের সাথে কথা বলেন,  আপনার ভয় লাগতে পারে সেটা স্বাভাবিক ,কিন্তু সেই জন্য অজানা নতুন জায়গা যেতে, অজানা লোকের সাথে কথা বলতে  বা নতুন পদক্ষেপ নিতে পিছুপা হবেন না। জীবনে উন্নতি করতে গেলে, জীবনে সফলতা পেতে গেলে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতেই হবে।                                                                                 


একটা কথা আছে..আপনি আগে এতদিন যা করে এসেছেন যদি তাই করতে থাকেন তাহলে এতদিন আপনি যা পেয়ে আসছেন তাই পেতে থাকবেন। আর আপনি এতদিন যা করে আসছেন তার থেকে নতুন কিছু যদি করেন, তাহলে নতুন কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই জন্যে বলা হয় জীবনে সফলতা পেতে গেলে প্রতি পদক্ষেপে আপনাকে নতুন নতুন জ্ঞান শিখতে হবে, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, এবং নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে, নিজের লক্ষ্য কে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য কর্ম করতে হবে এবং তাঁর জন্য ভয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না।

আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে.. কাজের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। রাস্তায় যতই বাধা আসুক, বিপত্তি আসুক নিজের লক্ষ্য থেকে বিচলিত হলে চলবে না। ধারাবাহিকতাই হলো সফলতার মূল সূত্র। নিজের উদ্দেশ্যে লেগে থাকতে হবে। অনেকেই জীবনের উদ্দ্যেশ্যের যাত্রায় যখন বিফলতা আসে তখন হাল ছেড়ে দেন,  বা জীবনের মূল লক্ষ্য কে বদলে ফেলেন,  তেমনটি উচিত নয়। নিজের উদ্দেশ্যে লেগে থাকুন সফল হবেনই।

 

কখনো ঋনাত্বক চিন্তাধারা মনে রাখবেন না যেমন "আমার দ্বারা হবে না, আমি পারবো না।", কাজটি খুব কঠিন বলে কাজটি করতে ছেড়ে দেবেন এমন যেন না হয়। কাজটি যদি অতি গুরুত্বপূর্ণ বটে, তাহলে করুন, তা যতই কঠিন হোক।

আপনার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি থাকতে হবে। যে কোনো বিষয়ে যখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভেবে চিন্তে নিন। বার বার খুঁটিয়ে দেখুন বিষয়টি তার পর ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন, দরকার হলে সেই বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি,  অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের  পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,  কিন্তু তবু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সেই বিষয়টিতে কাজ আরম্ভ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে শিখতে হবে।

 

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। আমি কাজটি করে যদি অসফল হই তাহলে লোকে কি বলবে?  যদি অসফল হয় তাহলে অনেক লোকসান হবে।  এরকম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবেন না। জীবনে একটু আধটু ঝুঁকি না নিলে উন্নতি করা অসম্ভব। নতুম কাজ করার ঝুঁকি নিতে হয়,  সফলতা-অসফলতার ঝুঁকি নিতে হয়, সম্পত্তি হারানোর ও ঝুঁকি নিতে হয়,  কিন্তু বুঝতে হবে সে ঝুঁকি যেন পরিকল্পিত এবং পরিমাপ করা ঝুঁকি হয়। সে ঝুঁকি এমন যেন হয় যাতে পরে অসফল হলেও সেটা পূরণ করে নেওয়া  যেতে পারে,  সেটা সামলে নেওয়া যেতে পারে।

 

আপনি যে কাজই করবেন তাতে যেন সম্পূর্ণ মনযোগ দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ মানসিক শক্তি কে কাজে লাগানো হয়। আপনি যতই গুরুত্ব দিয়ে কাজটিকে করবেন ততই সেই কাজটিতে সফলতার সম্ভাবনা বাড়বে।

অযথা অর্থ অপচয় করবেন না। নিজেকে বড় দেখানোর উদ্দেশ্যে,  বা বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অযথা টাকা খরচ করবেন না। পরিকল্পনা মাফিক খরচ করুন। যা খরচ করবেন তা যেন কোনো গঠনমূলক বা কল্যানমুলক কাজে ব্যবহৃত হয়। 

অপরের সাথে সহযোগিতায় অংশগ্রহন করুন। অন্যের সহযোগিতা কি করে পাওয়া যায় তা শিখুন,  এবং অন্যকে যাতে প্রয়োজনে সাহায্য করতে পারেন সেই জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং প্রয়োজনে সাহায্য করুন।

 অন্যের সাফল্যে হিংসা করবেন না। আপনি যদি সফল হতে চান অন্যের সাফল্যে উৎসাহিত হন। তিনি যদি পেরেছেন তাহলে আপনিও পারবেন। সবথেকে ভালো হলো নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা না করা। তুলনা যদি করতেই হয় নিজের সাথে তুলনা করুন। আপনি প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজেকে কতটা উন্নত করতে পারছেন সেটা তুলনা করুন।

আপনি যাই করুন না কেন আর্থিক সহায়তা দরকার। তা যত বড় পরিকল্পনা হবে ততই বড় অর্থের প্রয়োজন হাতে পারে। তাই আপনার পারিকাল্পনা কে বাস্তবায়িত করতে যে অর্থ লাগবে সেই অর্থের যোগান কিভাবে করা যাবে সে দিকটা দেখতে হবে।

 

নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে শিখতে হবে। অতিরিক্ত বিলাসিতা, অথবা "অতিরিক্ত কাল্পনিক আনন্দ  চিন্তা করে  সময়  অপচয়" আপনার জীবনে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আপনি যাই করুন তার জন্য সময় দরকার। তাই সময় কে কিভাবে ব্যবহার করবেন তা জানতে হবে।


উপরের এইসব বিষয়গুলি র উপর যত্নসহকারে গুরুত্ব দিলে সফলতা অবশ্যই আসবে।

আরো পড়ুন:Finish what you Start. , Five ghosts of fear, 

                      How Success Rule works? ,  7 Habits of Highly Effective People ,

                      Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev

                       আকর্ষণের সূত্র  , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র , 


For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com

   

 


Post a Comment

0 Comments