‘পাঁচটি কাল্পনিক ভয়’ যা আপনাকে জীবনের উন্নতি তে বাধা দেয়(Five ghosts of "fear") :-

 

'পাঁচটি কাল্পনিক ভয়' যা আপনার উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় :-

আপনি জীবনে যা কিছুই করতে চান তার জন্যে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার মন কে প্রস্তুত করতে হবে "যে আমি এটা করতে পারবো"। যা কিছুই আপনি করবেন তা তৈরি করতে কঠিন হবে না যদি আপনি সেটা সম্বন্ধে অধ্যয়ন করেন এবং তিনটি শত্রু... 'নির্ণয় নেওয়ার ক্ষমতার অভাব' ,'সন্দেহ' এবং 'ভয়' এদের কে জয় করেন। যতক্ষন পর্যন্ত না আপনি উপরের এই তিনটি শত্রুকে জয় করছেন আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ভালোভাবে কাজ করবে না।

নির্ণয় নেওয়ার অভাব বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভাব আপনার জীবনে যে কোনো কাজ করতে গিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে যে...এটা আমি  পারবো কি না ? বা আমার দ্বারা সম্ভব হবে কি না ?

এই তিনটি শত্রু 'নির্ণয় নেওয়ার ক্ষমতার অভাব '  'সন্দেহ' এবং 'ভয়'  এরা আমাদের অবচেতন মনে লুকিয়ে থাকে এবং সহজে ধরা যায় না। মন থেকে একে তাড়ানো খুব কঠিন। তার জন্য অনেক অভ্যাস, চিন্তন, এবং যুক্তিযুক্ত মনন করতে হয়। 

যে পাঁচটি ভয় আপনাকে সবথেকে বেশি বিপদে ফেলে তা হলো:-

1)দরিদ্র হওয়ার ভয়, 

2)লোকনিন্দার ভয়,

3)শরীর খারাপ হওয়ার ভয়, 

4)প্রিয়জন কে হারানোর ভয়  এবং 

5)মৃত্যু ভয়।

ভয় হলো একটা মনের স্থিতি যা হলো কাল্পনিক, এর বাস্তব অস্তিত্ব নেই। ভয় হলো একটি মনের তৈরি অবস্থা যা ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনিশ্চয়তার কারণে আসে অথবা অন্ধবিশ্বাস এর কারণে আসে।

1)দারিদ্রতার ভয় :-যাঁর মনে ভয় থাকে যে তিনি গরিব  এবং  নিজেকে দুর্বল ভাবেন তিনি বড় কিছু কাজ করতে বা বড়োকিছু সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। তার ফলে তাঁর জীবনে উচিত অনুচিত যে কিছুই হোক বা ভালোমন্দ যা কিছুই ঘটুক তিনি তা সহজেই স্বীকার করেন। তাঁর প্রতি কোনো অন্যায় হলেও মনে মনে ভাবেন" অন্যায় এর প্রতিরোধ করেই বা কি হবে? সফল তো হাওয়া যাবে না।" এরকম আত্মবিশ্বাস এর অভাব তাঁকে গ্রাস করে যাঁর ফলে কাজের প্রতি তাঁর অনীহা আসে, তিনি কোনো কিছু করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পিছুপা হন। তিনি নতুন কিছু যুক্তিধারা মাথায় আনার চেষ্টা করেন না। স্বনিয়ন্ত্রন ক্ষমতা হারান এবং মানসিক বা আত্মিক বল কমে যায়। কোনো কিছু কাজের দায়িত্ব কে কিছু বাহানা করে ঢেকে দিতে চান। নিজের ভুলের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী হন, কিন্তু সেই ভুলকে শোধরানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে চান না। এবং যাঁরা জীবনে সফল হয়েছেন  তাঁদের সম্বন্ধে অযথা নিন্দা করেন।

  দারিদ্রতার কারণে তাঁরা নিজের জীবন কে যেমনি চলছে তেমনি চলতে দেন। নিজের দুঃখ থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে নেশাগ্রস্ত হন। মদ , গাঁজা ইত্যাদি গ্রহণ করেন।  তিনি  যে কোনো কাজ করতে গেলে তার ঋনাত্বক দিকটাই দেখতে পান। তিনি  বলেন কেও এই কাজটি করেন নি তাই আপনিও পারবেন না। তাঁরা কেন কাজটি করা কঠিন, কেন কাজটি করা সম্ভব নয়  তার অজুহাত বা বাহানা দেখতে থাকেন। তিনি ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ এর পরিকল্পনা নিতে চান না। এঁদের মধ্যে যে কোনো কাজকে দেরি করার প্রবণতা জন্মায়। বা কোনো কিছু এঁদের বললে তাকে যুক্তি তর্ক দিয়ে না পরখ করে, সহজেই মেনে নেন।

এঁদের কে নিজেকে সুদৃঢ় করার একমাত্র উপায় হলো মনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মানো। তাঁর  মধ্যে এই আত্মবিস্বাস জন্মাতে হবে যে পরিস্থিতির পরিবর্তন করা যায়। তিনি ও যে চেষ্টা করলে গরিব থেকে ধনী হাতে পারবেন সেই আত্মবিশ্বাস জন্মাতে হবে।বুঝতে হবে যে দারিদ্রতা একটি সাময়িক স্থিতি, এটা দূর করা সম্ভব। দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।প্রবল ইচ্ছা শক্তি জন্মাতে হবে। বুঝতে হবে এটা চির জীবন থাকবে না।  

তিনি  চাইলে অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবেন। এর জন্য  পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্যে চিন্তন করতে হবে । দরকার হলে লক্ষ্য প্রস্তুত করার জন্য সফল এবং ধনী ব্যক্তিদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তাঁকে চয়ন করতে হবে তিনি দারিদ্রতা দূর করতে কি মাধ্যম টি বেছে নেবেন তা সে ব্যবসাই হোক বা কৃষি বা কোনো উৎপাদন ব্যবস্থাই হোক বা চাকরির প্রচেষ্টাই হোক।সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দরকার পড়লে ট্রেনিং নিতে হবে এবং কাজ করতে হবে। কাজটি তাঁকেই করতে হবে। অন্যরা সহযোগীতা করলেও দায়িত্ব থাকবে তাঁর।

2) দ্বিতীয় যে ভয় টি হলো লোকনিন্দার ভয়। অর্থাৎ লোকে কি বলবে ? এই ভয়। লোক আপনাকে বলবেই। আপনি যদি ভালো কাজ করেন তবু কিছু নিন্দুক আপনার নিন্দা করবে। আর আপনি যদি ভুল করেন তাহলে তো নিন্দা করবেই। কেও আপনাকে কিছু বলার অর্থ এই নয় যে তিনি যা  বলছেন তা আপনার মূল্যাঙ্কন করছে। সেটা আপনার মূল্যাঙ্কন নাও হতে পারে।হতে পারে তিনি আপনার উন্নতি তে হিংসা করেন, তাই আপনাকে মানসিক ভাবে দুর্বল করার জন্য বা মানসিক ভাবে উদ্বিঘ্ন করার জন্য আপনার নিন্দা করছেন বা কটু কথা বলছেন।    

যারা আপনার বদনাম করছেন তাদের  কথায় কান দেবেন না। নিজে নিজের মূল্যাঙ্কন করুন।  আপনি কি করছেন? ঠিক করছেন না ভুল করছেন? এটা শান্ত এবং শুদ্ধ হৃদয়ে চিন্তা করুন। এবং তারপর যদি মনে হয় আপনি যা করছেন তা ঠিক করছেন, উচিত করছেন, যদি মনে হয় আপনি যা করছেন তা সমাজের কোনো ক্ষতি করবে না তাহলে কাজটি করতে পারেন। যদি মনে হয় কাজটি সমাজের কল্যাণ করবে, দেশের কল্যাণ করবে তাহলে অবশ্যই করুন। যদি কাজটি সমাজের উপকারে আসে তাহলে ধরে নিন কাজটি আপনার ও উপকারে আসবে কারণ আপনিও তো সেই সমাজেরই অংশ।

অনেকে আছেন তাঁকে বদনাম করলে তিনি চিন্তায় পড়ে যান। হতাশ হয়ে যান এমনকি লোকনিন্দা  চর্চার ভয়ে অনেকে ভালো পদক্ষেপ নিতেও পিছুপা হন। লোকনিন্দার কারণে "ভুল হলে লোকে হাসবে  এই ভেবে নতুন পদক্ষেপ নিতে ভয় পান । অনেকের  মাথায় নতুন ভালো চিন্তা ধারা আসলেও সেটাকে বাস্তব রূপ দিতে ভয় পান। এবং কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়ে যান বা দেরি করেন। লোকনিন্দা ভয় অনেকের আত্মবিশ্বাস কে দুর্বল করে দেয়।

                                                                                   


লোকনিন্দার ভয়ে অনেকে ঘাবড়ে যান। মনে ভয় থাকে যদি লোকের সামনে কথা বলতে না পারি? যদি উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির সাথে কথা বলতে না পারি? তাহলে লোকে কি বলবে? এসব লোকনিন্দার ভয় মনে অসহায়তা নিয়ে আসে। অনেকে কথা বলতে গিয়ে থতমত খেয়ে যান। অজানা লোকের সাথে কথা বলতে পারেন না, বা বিভিন্ন অর্থহীন অঙ্গভঙ্গি করেন। লোকনিন্দার ভয়ে অনেকে সভায় কথা বলতে পারেন না। গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়। সাময়িক স্মৃতি হ্রাস হয় বা শরীর এর অঙ্গভঙ্গি তে আত্মবিস্বাস এর অভাব দেখা যায়।

অনেকে অন্যকে খুশি করার জন্য বা বাহবা পাওয়ার জন্য অযথা টাকা পয়সা খরচ করেন।

এইসব দুর্বলতা থেকে উঠে আসতে হবে। অন্যের প্রশংসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাজ করা উচিত নয়। তবে যদি অন্যের সত্যিই সাহায্যের দরকার তাহলে সাহায্য করতে সর্বদা এগিয়ে যান এটা করা উচিত। লোক কি বললো না বললো তা না ভেবে, নিজে সিদ্ধান্ত নিন। পৃথিবী তে সফল ব্যক্তির সংখ্যা কম। তাই জানতে হবে যে বেশ ভাগ লোকই কোনো জিনিস কে সমর্থন করছেন তার অর্থ এই নয় যে বিষয় টি সঠিক, এটা সর্বদা নাও হতে পারে।  

3)আরেকটি যে ভয় অনেকের মনে আসে সেটি হলো অসুস্থ হওয়ার ভয়।.. যাদের মনে এই ভীতি থাকে, দেখা যায় এরা একটু আবহাওয়া খারাপ হলে ঘর থেকে বেরোতে চান না, অন্যের সাথে সহজে হাত মেলাতে চান না, অন্যের বিছানায় বসতে চান না, বার বার হাত ধোন।  সামান্য অসুস্থ বোধ হলে বড় ডাক্তার এর কাছে যান, ঘন ঘন ওষুধ খান। শরীর খারাপ হলেও বা না হলেও মান্থলি check  up এ যান। জ্বর জ্বালা একটু কিছু হয়ে গেলে তাঁদের মনে হয় যেন পাহাড় ভেঙে পড়েছে। পেটে সামান্য ব্যাথা হলে ভাবেন পেটে ঘা হলো না তো ? সামান্য রোগকে বড় রোগ ভেবে ভয় পান। আর এইসব কারণে অযথা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, রোগ না হলেও অযথা চিকিৎসায় টাকা খরচ করেন। এই সব মনের দুর্বলতার কারণে কখনো সত্যি সত্যি মানসিক রোগের সৃষ্টি করে যা ক্ষতিকর। নিজের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার  উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। পুষ্টিকর আহার খেতে হবে, নিয়মিত প্রাণায়াম, শরীরচর্চা , অধ্যাত্ম চর্চা করতে হবে এবং নিশ্চিন্তে থাকতে হবে, ভয় করে লাভ নেই।  

4)আপন জন কে হারানোর ভয় :-আরেকটি ভয় হলো আপন জন কে হারানোর ভয়। নিজের স্বজন কে হারানোর ভয়। স্বজন এর ভালোবাসা পাবেন না এই ভয়। স্বজন কে হারানোর ভয়ে দেখা যায় অনেকে অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে পিছিয়ে যান। অনেকে সঠিক কথা বলেন না, মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য হন। স্বজন মোহে অনেকে অপরকে অযথা সন্দেহ করেন, যা অন্যের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে। কেও কেও নিজের বাবা মা বা স্ত্রী কে এতটাই চোখবুজে বিশ্বাস করেন যে তাঁরা যা বলেন তাই করেন।  এর ফলে কখনো তাঁর ভুল কাজ করা হয়ে যায় বা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়।

অনেকে স্বজন এর চাপে তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার আকাঙ্খায় বা বেশি টাকা রোজগার এর আকাঙ্খায় চুরি করেন ,অন্যকে ঠকান অথবা জুয়া খেলেন। কখনো এমন হয়ে যায় যে অনেকে স্বজন কে যাতে হারাতে না হয় সেই মোহে নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা সব বিসর্জন দিয়ে দেন। বা নিজের জীবনের উদ্দেশ কে পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়ে দেন। স্বজন মোহে অনেকে অন্যের হত্যা পর্যন্ত করতে দ্বিধা বোধ করেন না এমনও  ঘটনা ঘটে। এতটা প্রেম মোহ বা স্বজন মোহ ঠিক নয় যে তার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 দেখা গেছে অনেক ছেলে নিজে,সংগীতজ্ঞ অথবা ক্রীড়াবিদ হাতে চান কিন্তু বাবা মায়ের কথা রাখতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। কেও হয়ত গণিত নিয়ে পড়াশুনা আগ্রহী কিন্তু বাবা মায়ের ইচ্ছায় ইংলিশ সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করছেন। এমনটি ঠিক নয়। এর ফলে সারাজীবন আত্মতুষ্টি র অভাবে তাঁকে ভুগতে হয়। জীবনে অশান্তি আসে। আপনার যদি সে রকম ইচ্ছা অনিচ্ছার পছন্দের ব্যাপার থাকে তাহলে সরাসরি স্বজনদের সাথে কথা বলুন। তাদের বোঝান আপনি কি চান ,কেন চান। ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার দরকার নেই তাদের বুঝান। প্রত্যেকেরই নিজের জীবন উদ্দেশ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। তা না থাকলে প্রত্যেকের শরীরে একটি করে  মস্তিস্ক থাকতো না। স্বজন কে  অবশ্যই ভালোবাসুন, কিন্তু তাঁদের কথাকে চোখবুজে মেনে নেবেন না। যাই করবেন নিজের বুদ্ধি দিয়ে পরখ করে নিন। নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে নিন। 

5)আরেক ভয় হলো মৃত্যু ভয়।... মৃত্যু ভয় নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়েন। কিন্তু বাস্তবে এটা যে চিন্তা করা উচিত নয়। বিন্দাস কাজ করে যান মৃত্যু তো একদিন আসবেই, এটা অবধারিত।  তাহলে আবার মৃত্যু কে ভয় কি? অনেকে বেশি দিন বাঁচতে চান। মরতে চান না সেই জন্য অনেক কঠিন পদক্ষেপ নিতে যান না, কারণ ওতে কষ্ট আছে, বা মৃত্যু ভয় আছে। মৃত্যু বা আঘাত পাওয়ার ভয়ে,  বা কষ্টের ভয়ে, অনেকে সামাজিক কাজের জন্য বা সমাজের কল্যাণের জন্য যে সব কাজ,  সে সব গঠনমূলক কাজ থেকে বিরত থাকেন। মৃত্যুভয় এর কারণেই অনেকে স্বাধীনতা সংগ্র্রাম এ অংশগ্রহন করেন নি।

  আপনি কতদিন বাঁচলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যতদিন বাঁচলেন কিভাবে বাঁচলেন শান্তিতে না অশান্তি তে, সুখে না দুঃখে, নিজের উদ্দেশ্যে কাজ করে না অন্যের দ্বারা চালিত হয়ে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। স্বনির্ভর হয়ে না পরনির্ভর হয়ে সেটা গুরুকত্বপূর্ণ। সমাজের জন্যে কতটা কাজ করলেন ? এসব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই তো এপৃথিবী তে এলেন আর গেলেন কিন্তু আসল যেটা দেখতে হবে যখন আপনি শেষ শয্যায় জীবন ত্যাগ করবেন তখন যেন আপনার জীবনে কোন আফসোস না থাকে এমন ভাবে জীবন টাকে অতিবাহিত করুন। যাতে যখন এ পৃথিবী ছেড়ে ছেড়ে চলে যাবেন সেদিন যেন সন্তুষ্টির সহিত, আনন্দে, এই পৃথিবী কে ত্যাগ করতে পারেন।

ভয়.. সে দারিদ্রতার ভয় হোক বা,  লোকনিন্দার ভয় হোক, বা স্বজন কে হারানোর ভয় হোক, বা অসুস্থতার ভয় হোক,  বা মৃত্যু ভয় হোক,  ভয়ের কারণ যাই হোক না কেন, ব্যক্তি ঘাবড়ে যান। যার ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। নিজের চিন্তাশক্তি কামে যায়, নতুন পদক্ষেপ নিতে পিছুপা হন এবং সেই ভীতি অন্যের মধ্যেও সঞ্চার করেন। কোনো সেনা নায়ক যদি ভয় পান তাহলে তার প্রভাব পুরো সেনাদল এর মধ্যে পড়ে। যাঁরা ভয় পান তাঁরা শুধু নিজের মধ্যে নয় অন্যের মধ্যেও ভীতির সঞ্চার করেন। অন্যের আত্মবিশ্বাস কেও খর্ব করেন। যা আরো ক্ষতিকর। 

   

 

উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like  এবং Share করুন।


আরো পড়ুন:Finish what you Start.  How to remain Unscripted

                      How Success Rule works? ,  7 Habits of Highly Effective People ,

                      Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes

                      Motivational And Inspirational Quotes For Success

                      Dan Lok's Advice  For Success ,   14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন ,  কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan ,  Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev

                       আকর্ষণের সূত্র  , ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সফলতার ১৫ টি সূত্র , 


For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com

   

Post a Comment

0 Comments