নিজের আত্মবিশ্বাস কি করে বাড়াবেন(How to build your self confidence ) :-

 

আপনার আত্মবিশ্বাস কি করে বাড়াবেন :-

আত্মবিস্বাস এমন একটি গুন্ যেটা ছাড়া সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাস হলো নিজের উপর বিশ্বাস। আপনি যে কাজই করুন বা যাই বলুন যখন আপনি কাজটি করছেন,  তখন আপনার মনে বিশ্বাস থাকতে হবে যে আমি ওই কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারবো যদি আপনার বিশ্বাস থাকে যে আপনি কাজটি করতে পারবেন তাহলে আপনি ওই কাজের জন্য পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু যদি আপনার মনে বিশ্বাসই জন্মালো না যে আপনি কাজটি করতে পারবেন, বা কাজটি আপনার দ্বারা সম্ভব হবে, তাহলে আপনি আর কাজটি করতে এগোবেন না। নতুন কাজ করার জন্য, বা নতুন পথে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আপনার কাছে আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি।

এখন কথা হচ্ছে কি করে আত্মবিশ্বাস প্রাপ্তি করা যায়?  কি ভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় সেটা জানতে হবে। আমরা দেখি যে একজন ব্যক্তি বি. ডি.. সাথে দেখা করতে পারেন না, বা থানার ও. সি. র সাথে কথা বলতে পারেন না এর কারণ ভয় বা আত্মবিশ্বাস এর এভাব। কেও সভায় মঞ্চে উঠে কথা বলতে পারেন না, এটাও আত্মবিশ্বাস এর এভাব। কেও পরীক্ষার হলে বা ইন্টারভিউ হল এ গিয়ে হতাশ হয়ে যান। আত্মবিশ্বাস এর এভাবে অনেক ছাত্র স্কুল এ শিক্ষক এর সাথে কথা বলতে পারেন না। যদি কেও আত্মবিশ্বাস এর এভাবে শিক্ষক কে তার কথা খুলে না বলতে পারেন, তাহলে সে শিক্ষায় পিছিয়ে যাবে। যদি কেও মঞ্চে কথা বলতে না পারেন, তাহলে জনগণ কে তার কথা জানানো কঠিন হবে। কথা খুলে বলতে না পারলে তার প্রয়োজনীতা পুরন হবে না, অথবা অন্যকে দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। যদি কেও নিজের মনে আত্মবিশ্বাস আনতে না পারেন যে তিনি ডাক্তার হাতে পারবেন বা ইঞ্জিনিয়ার হাতে পারবেন, তাহলে তাহলে সত্যি সত্যি তিনি সেটা হতে পারবেন না। আত্মবিশ্বাস এর অভাব ফ্যাক্টরিতে, কারখানায়, অফিস,  কাছারি তে উর্ধতন থেকে নিম্নস্তরের কর্মীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করে।

এখন কথা হচ্ছে এই যে আত্মবল বা আত্মবিশ্বাস এর অভাব সেটা কি করে প্রাপ্তি করা যাবে... সেটা নিয়েই আলোচনা করা যাক।

আত্মবিশ্বাস হলো একটি গুন্ যা শেখা যায়, বা প্রাপ্তি করা যায় ।আজ যদি আপনি আত্মবিশ্বাস এর অভাব অনুভব করছেন,  সেটা দূর হয়ে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে যদি আপনি সেটা দূর করতে পরিশ্রম করেন।  আপনি কিছু করতে চাইছেন অথচ আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না, তার অর্থ হলো সেটার জন্য আপনার পুরোপুরি প্রস্তুতি নেই। সেটা হয়তো পদ্ধতির প্রস্তুতির অভাব হতে অথবা প্রয়োজনীয়  তথ্য জোগাড় এর অভাব অথবা প্রয়োজনীয় জ্ঞান এর অভাব,  কিছু না কিছু একটা র অভাব রয়েছে যা আপনাকে সফল হবেন কি না সেটা সম্বন্ধে আপনার মনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। সেই জন্যেই মনে ভীতি এবং আত্মবিশ্বাস এর অভাব অনুভব করছেন।

আরেকটা জিনিস আপনাকে মনে মনে ভোগাচ্ছে সেটা হলো "যদি প্রথম চেষ্টায় সফল না হই তাহলে লোক আমার প্রতি হাসবে "। লোক হাসছে কি হাসছে না তাতে আপনার কি আসে যায়?  লোক আপনার প্রতি হাসলে কি পাবেন?  বা লোক না হাসলে আপনি কি পাবেন?  যারা অন্য কে উপহাস করেন তাদের  জীবনী খোঁজ করে দেখবেন, তাঁরা নিজের জীবনে বিশেষ সাফল্য লাভ করেন নি। তাঁরা নিজে বিশেষ সাফল্য লাভ করেন নি,  এবং তাঁরা অন্যরা সাফল্য লাভ করুক সেটা চান না। অন্যেরা সাফল্য লাভ করলে তাঁদের বুক জ্বলে, সেই জন্য তাঁরা উপহাস করে অন্যের সাফল্যে বাধা সৃষ্টি করতে চান, অন্যের আত্মবিশ্বাস ভঙ্গ করতে চান,  তাই বলি.. যারা আপনাকে উপহাস করে তাদের কথায় কান দেবেন না।

 দেখবেন সফল ব্যক্তিরা আপনাকে উপহাস করবেন না। কারণ সফল ব্যক্তিরা জানেন সবাই শুন্য থেকেই শুরু করেন। যিনি আজ সফল হয়ে অনেক উঁচু স্তরে উঠেছেন তিনিও একদিন নীচে ছিলেন। তিনিও যখন শুরু করেছিলেন তখন তাঁরও মনে ভয় হয়ে ছিল, তাঁরও মনে আত্মবিশ্বাস এর অভাব ছিল, যে তিনি পারবেন কিনা। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েন নি। চেষ্টা করে গেছে। বারবার অসফল হলেও চেষ্টা ছাড়েন নি যতক্ষন না তিনি সফল হয়েছেন। তার মনে সফল হওয়ার আকাঙ্খা ছিল, সফল হওয়ার প্রচণ্ড জেদ ছিল,  সেই জেদ তাঁকে সফলতা দেখিয়েছে। তাঁকে যে লোক উপহাস করে নি এমন নয়। তাঁকেও লোক উপহাস করে বলেছে যে তার দ্বারা সম্ভব হবে না। কিন্তু তিনি লোকের কথায় কান দেন নি। নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেছেন মনে মনে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছেন যে যে তিনি সফল হবেনই। তার জন্যেই তিনি আজ সফল। সেই জন্য সফল ব্যক্তি আপনাকে উপহাস করবেন না। যারা উপহাস করে তারা সব অসফল হওয়ার দল, অথবা তারা সেই ব্যক্তির দল যারা অন্যের ভালো বা অন্যের কল্যাণ হলে হিংসা করেন।

একটা যে কোনো বিষয় ধারা যাক :-

 ধরুন আপনি মঞ্চে উঠে কথা বলতে পারছেন না, বা ভয় পাচ্ছেন ,থতমত খেয়ে যাচ্ছেন। তার কারণ হলো:-

১)হতে পারে মঞ্চে উঠে আপনি কি বলবেন সে ব্যাপারে আপনার প্রস্তুতি নেই। ক্রমান্বয়ে আপনাকে মঞ্চে কি বলতে হবে সেটা যদি প্রস্তুতি নিয়ে মঞ্চে উঠেন দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে।আপনি বলতে পারছেন।

২) হতে পারে অনেক শ্রোতা কে উদ্দেশ্য করে আপনার বলার অভ্যাস নেই। অনেকজন শ্রোতাকে কি করে সম্বোধন করতে হয় সেটা জানতে হবে, অনেকজন শ্রোতার উদ্দেশ্যে কি করে বলতে হয় সেটা জানতে হবে।

৩) যে উদ্দেশ্যে মঞ্চে ওঠা হচ্ছে সেই বিষয় বস্তু জানতে হবে। মঞ্চে উঠে কথা বলা কিন্তু টাইম পাস ব্যাপার নয়। তার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। এবং সেই বার্তা ওই শ্রোতার কাছে পৌছানোই আপনার কাজ। যদি এ বিষয়ে আপনি প্রস্তুত নয়, তার প্রস্তুতি নিতে হবে, যদি অনেকজনকে উদ্দেশ্য করা বলা আপনার অভ্যাস নেই, তাহলে সেটা অভ্যাস করতে হবে। বারবার অভ্যাস করতে হবে। আপনি যেটা করতে ভয় পাচ্ছেন, সেটা বার বার করুন দেখবেন সেটা যতবার অভ্যাস করছেন ততবার আপনার ভয় কেটে যাচ্ছে। আপনি নির্ভিক হচ্ছেন। আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।

  প্রত্যেক কাজের ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার ঘটে।আপনি যেটার জন্যে ভয় পাচ্ছেন, ভয় লাগলেও সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সফল ব্যক্তিরা সেটাই করেন।

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গেলে আপনার জীবনে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। সেই লক্ষ্য যেন বড় লক্ষ্য হয়। সেই লক্ষ্য হয়ত ব্যবসায় সাফল্য হওয়া,  I.A.S হওয়া, I.P.S হওয়া, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া, ডাক্তার হওয়া,  সমাজসেবী হওয়া,  প্রধানমন্ত্রী,  মুখ্যমন্ত্রী, বা M.L.A অথবা  M.P যা কিছুই হওয়া র লক্ষ্য হতে পারে। আপনি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, এবং যেহেতু এই লক্ষ্য একদিনে সম্ভব নয়, তাই এই লক্ষ্য পাওয়ার যে পদ্ধতি তাকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করুন। প্রত্যেক দিনের জন্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, প্রত্যেক সপ্তাহের জন্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, প্রত্যেক মাসের জন্যে, প্রত্যেক বছরের জন্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং প্রতিদিন লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে কাজ করতে করতে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। দেখবেন প্রতিদিনের ছোট ছোট সফলতা আপনার মনে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। আপনি নিজের উদ্দেশ্যে যতই এগিয়ে যেতে থাকবেন ততই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

                                                                           


প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন, নতুন কিছু করুন,  নতুন কাজে ভয় পাবেন না, আর ভয় লাগলেও তা করুন। প্রতিদিন নতুন লোকের সাথে কথা বলুন।

 দেখবেন আপনার আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।

 

প্রতিনিয়ত যখনই সুযোগ পাবেন অন্যকে সাহায্য করুন, তা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েই হোক, বা অর্থ সম্পদ দিয়ে, যেমন পারেন, যতটুকু পারেন, অন্যকে সাহায্য করে যান।  কিছু সমাজ সেবামূলক কাজ করুন। দেখবেন লোক আপনাকে ভালোবাসবে, লোক আপনার প্রতি ভরসা পাবে এবং আপনার বন্ধু বা সহযোগীর সংখ্যা বাড়বে, যা আপনাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।   

জীবনে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, নিজের মূল্যবোধকে ত্যাগ করবেন না। নিজের সঠিক আদর্শ কে বিসর্জন দেবেন না। ঠিক এবং ভুল, ভালো এবং খারাপ, উচিত এবং অনুচিত চিনতে জানা প্রয়োজন। ভালো সমাজকল্যাণ মূলক কাজে সহযোগী হতে হবে,  অন্যদিকে অন্যায় কাজ সমাজের ক্ষতিমূলক কাজকে বর্জন করতে হবে। আপনার এই মূল্যবোধ আপনাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। 

একটি কথা মনে রাখবেন.. অনেক লোক  কোনো বিষয় কে সমর্থন করছেন তার  অর্থ এই নয় যে সেটা ঠিক,  সেটা ভুল ও হতে পারে। তাই নিজের বুদ্ধি দিয়ে সেই বিষয় কে ভেবে দেখতে হবে।  

 

কোনো পুরোনো সিদ্ধান্ত কে চোখবুজে বিশ্বাস করবেন না। সে সিদ্ধান্ত ভুল ও হতে পারে। একসময় বিশ্বাস করা হত পৃথিবীর চারদিকে সূর্য ঘুরে। কিন্তু সেটা বিজ্ঞান এর উন্নতির সাথে সাথে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রমাণিত হয় যে পৃথিবী সূর্যের চার দিকে ঘুরে। আবার.. কয়েক শত বছর আগে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে একদিন মানুষ আকাশে উড়বে, বা একদিন মানুষ চাঁদে যাবে। কিন্তু পরবর্তী কালে সম্ভব হয়েছে।

এমনি ভাবে আমাদের মধ্যে অনেকেই বলেন..কেও এটা পারে নি, তাই আপনিও  পারবেন না। অথবা কোনদিন এটা সম্ভব হয় নি,  তাই এটা আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না। এরকম অনেকেই আপনাকে বলতে পারে। সেসবে কান দেবেন না। বাস্তব হলো যেটা এতোদিন কেও করতে পারে নি সেটাও করা সম্ভব হতে পারে, অথবা যেটা এতদিন ঘটে নি সে ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

আপনি যা বলছেন এবং যা করছেন তার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। আপনি যেটা করবেন ঠিক করলেন সেটা করুন। যদি কারো সাথে দেখা করবেন বলে কথা দিলেন, তাহলে দেখা করুন। কথা এবং কাজের সামঞ্জস্য বজায় রাখলে এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখলে দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। অন্যের সাথে তুলনা করলে অন্যের অবস্থা জেনে মন খারাপ হতে পারে, অথবা অন্যের অবস্থার সাথে তুলনা করে নিজেকে দুর্বল মনে হাতে পারে। মোদ্দা কথা হলো.. পৃথিবীর প্রত্যেকটি লোকের চিন্তাধারা একের অন্যের তুলনায় আলাদা, এবং প্রত্যেকের চেহারার গঠনও আলাদা। তাই একের চিন্তাধারা অন্যের সাথে সম্পূর্ণভাবে কখনোই মিলবে না,  সেই জন্য অন্যের সাথে তুলনা করার দরকারই নেই। যদি তুলনা করতেই হয় তাহলে নিজের সাথে তুলনা করুন। কালকে আপনি যে রকম ছিলেন তার থেকে আজ কতটা উন্নতি হলো তা পরিমাপ করুন। দেখুন নিজেকে প্রতিদিন কতটা উন্নতির পথে  নিয়ে যেতে পারছেন। নিজের সাথে তুলনা করলে পূর্বের তুলনায় যখন বর্তমানের উন্নতি দেখতে পাবেন, তখন আপনার মনে আত্মবিশ্বাস জাগবে। মনে বিশ্বাস জাগবে যে চেষ্টা করলে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে আপনি  আরো সফল আপনি হতে পারবেন।

 

নিজেকে কখনো যোগ্যতার তুলনায় দুর্বল মনে করবেন না। আপনি অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী হাতে পারবেন, শুধু সেই সুপ্ত যোগ্যতা কে জাগিয়ে তুলতে হবে। একজন পেরেছেন তার কারণ তিনি সেই বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছেন, শিখেছেন, এবং সেই বিষয়ে কাজ করেছেন। আপনি সেই যোগ্যতা অর্জন করলে সেই কাজ আপনিও করতে পারবেন। যে বিষয়ে আপনি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান সেই বিষয়ে আপনাকে বার বার অভ্যাস করতে হবে। 

একজন দক্ষ গাড়ি চালক যখন প্রথম গাড়ি চালানো শিখতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁরও মনে ভয় বা আত্মবিশ্বাস এর অভাব ছিল যে তিনি সফল হবে কি না।  কিন্তু যখন তিনি গাড়ি চালানোর কৌশল শিখলেন, এবং বার বার গাড়ি চালিয়ে অভ্যাস করলেন, তখন সেই গাড়িচালানোর ভীতি দূর হয়ে গেলো এবং তিনি দক্ষ চালক হয়ে গেলেন। যে কোনো বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গেলে সেই বিষয়ে শিখতে হবে এবং বারবার অভ্যাস করতে হবে।

একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, যাঁরা প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হন, তাদের হাঁটার ভঙ্গি, বসার ভঙ্গি, বা চলার ভঙ্গি নির্দিষ্ট। আপনি সেই ভঙ্গি কে অনুসরণ করুন দেখবেন আপনার মধ্যে আত্মবিস্বাস বাড়বে। এর কারণ হলো মন ও শরীর পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই মনের পরিবর্তন হলে তার প্রভাবে শরীর এর হাঁটা, চলা, বসা বা কথাবলার ভঙ্গি র পরিবর্তন হয়। ঠিক তেমনি ভাবে শরীর এর অঙ্গভঙ্গির বিশেষ পরিবর্তন করলে তার প্রভাব মনের মধ্যেও পড়ে। দেখবেন কোনো ব্যক্তি যখন আত্মবিশ্বাসী হন, তখন তিনি অনেকটা জায়গা দখল করে পা ছড়িয়ে বসেন অথবা দুইপায়ের মধ্যে অনেকটা ফাঁক রেখে দাঁড়ান। কিন্তু যখন কোনো ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাস এর অভাব থাকে তখন দেখবেন তিনি কম জায়গা দখল করে গুটিয়ে বসেছেন অথবা সেইভাবে কম জায়গা দখল করে পা পাশ করে হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যখন কোনো ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাস এর অভাব থাকে তখন তিনি কোনো বিষয়ে বলার থাকলে.. খুব তাড়াতাড়ি বলে নিজের বক্তব্য শেষ করে ফেলতে চান। অন্য দিকে আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি যথেষ্ট সময় নিয়ে নিজের বিষয় বস্তু যত্নসহকারে বলেন।

আরেকটা জিনিস অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেটা হলো স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া। শরীর যদি অসুস্থ থাকে তাহলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তাই শরীর এর যত্ন নেওয়া খুবই দরকার। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, শরীর চর্চা করা,  প্রয়োজন মতো বিশ্রাম এবং যথেষ্ট ঘুম নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। 

উপরের পরামর্শ গুলি অনুসরণ করুন,  দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস অবশ্যই বাড়বে।   

Post a Comment

0 Comments