'সৌভাগ্যবান' অথবা 'দুর্ভাগ্যবান' তা জানুন (Know the "Luck factor" ) :-

 সৌভাগ্যবান এবং দুর্ভাগ্যবান এর বিশেষতা কি তা জানুন:-

দেখা যায় কাউকে অনেকে ভাগ্যবান মনে করেন এবং কাউকে অভাগা। কেন এমন হয়? বেশির ভাগ লোক এটা ভাবেন যে জীবনে যা হয় তা হয় ভাগ্যের জোরে।  যদিও মেনে নেওয়া হলো সেটাই ঠিক, কিন্তু ভাগ্য তৈরি হয় কি ভাবে?, তা জানতে হবে। যখন কারো জীবনে খারাপ সময় যায় তখন লোকে বলে ভাগ্য খারাপ, অথবা খারাপ কর্মের ফল। অনেকে ভাবেন তা আবার পূর্ব জন্মের ফল অর্থাৎ যদি কারো জীবনে খারাপ হচ্ছে তার মানে তিনি পূর্ব জন্মে কিছু খারাপ কর্ম করেছেন এবং যদি ভালো হচ্ছে তাহলে পূর্ব জন্মে ভালো কর্ম করেছেন তার ফল। তাহলে কথা হচ্ছে আর এজম্নের কর্ম ফল টা কোথায় যাবে? পরের জন্মে? এই বিশ্বাস টা ভুল। কেও যদি শিক্ষক হাতে চাইলেন কিন্তু শিক্ষক হাতে পারলেন না,  কেও সরকারি চাকুরী পেতে চাইলেন কিন্তু পেলেন না,  কেও ডাক্তার হাতে চাইলেন হতে পারলেন না। কেও বড় ব্যবসায়ী হতে চাইলেন,  কিন্তু পারলেন না। কেন এটা হয়? এটা কি পূর্ব জন্মের ফল? না, সেটা নয়। পূর্ব জন্মের ফল থাক বা না থাক সেটা নিয়ে বেশি ঘাঁটা ঘাঁটি করার দরকার নেই। কারণ সেটাকে বদল করাও যাবে না।

কিন্তু ভাগ্য যে ভাবে গড়া যায় সেটা বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। মানলাম কেও জণ্মগতগ ভাবে লাখপতি বা কেও কোটিপতি। কেও পিতৃক সূত্রেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। এটাকে পূর্ব জন্মের কর্ম ফল বলা যেতেই পারেএটাকে ভাগ্য বলা যেতেই পারে। কিন্তু এটা জানতে হবে যে সারাটা জীবন পূর্ব জন্মের ভাগ্য দিয়ে চলে না। এই জন্মের কর্ম ফল ও যুক্ত হয়। উদাহরণ দিয়ে ভাবুন। ধরুন যদি কেও গরিব ঘরে জন্মালেন। বাড়িতে দিন আনে দিন খাই অবস্থা।  প্রতিদিনের শ্রমে প্রতিদিনের ভাত জোটে। কিন্তু কথা হচ্ছে এই রকম গরিব ছেলে/মেয়ে কি নিজের ভাগ্য তৈরি করতে পারে না? অবশ্যই পারে। গাদা গাদা উদাহরণ আছে যাঁরা গরিব ঘরে জন্মালেও,  ধনসম্পদ বলে শুন্য হাতে জন্মালেও নিজের এই জীবনের কর্ম ফলে পরে অনেক ধনী, এবং সফল হয়েছেন। ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় এর কথাই বলি নিজে খুব সাধারণ পরিবারে জন্মেছিলেন, কিন্তু নিজের কর্ম ফলে পরকালে বিখ্যাত ডাক্তার হন, এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রীও হন। ভারত বর্ষের প্রাক্তন পরমাণু বিজ্ঞানী, মিসাইল ম্যান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর আব্দুল কালাম মহাশয় ও এক সাধারণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে পরে নিজের এই জন্মের কর্ম ফলে সেই সফলতা লাভ করেন। 

তাই বলা কর্তব্য যে পূর্ব জন্মের দোহাই দিয়ে অকর্মন্য হয়ে থাকা টা ঠিক নয়, পূর্ব জন্মের ভাগ্যের সাথে এই জন্মের কর্ম কে যোগ করে দিয়ে নিজের ভাগ্য কে অনেক আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ধরুন আপনার কাছে জন্মগতভাবে প্রাপ্তি ২-৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আছে। তাহলে সেই পুঁজি কে কি এই জন্মে কর্ম  করে সে সম্পত্তি কে 20 -3০ লক্ষ টাকায় বা 20-3০ কোটি টাকার সম্পত্তি বা হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তে বাড়িয়ে আনা যায় না?  সেটা কি সম্ভব নয়?  অবশ্যই সম্ভব। যদি সেটা করার জন্য যা পদ্ধতি রয়েছে সেটা যদি শেখা হয় এবং সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা হয় তাহলে অবশ্যই সম্ভব। এই পৃথিবীতে সেটা অনেকেই করে দেখিয়েছেন। তাঁরা শুধু ভাগ্যের উপর নির্ভর করে বসে থাকেন নি। 

তাই বলি কাউকে পূর্বজন্মের করা ফলের উপর ভরসা করে বসে থাকে উচিত নয়। এই জন্মের কর্ম করুন এবং ফল কে কাজে লাগিয়ে  বাড়তে থাকুন। যদি ৫০ টাকা থাকে তাকে ৫০০০০ করা সম্ভব , তাকে ৫০ কোটি করা সম্ভব। সেটা করার পদ্ধতিটা আয়ত্ত করতে হবে। যারা সফল হয়েছেন তাঁরা কিভাবে সফল হয়েছেন সেটা জানতে হবে,তাঁদের জীবনী অধ্যয়ন  করতে হবে,  শিখতে হবে,  এবং নিজের কর্মে সেটাকে প্রয়োগ করতে হবে, তবেই সম্ভব হবে।

তবে এই নয় যে সফলতা সহজে আসে। যেমন সফলতা আপনি পেতে চাইবেন তেমনি কঠোর পরিশ্রম করতে হবে,  সময় প্রয়োগ করতে হবে,  জ্ঞান এবং অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে হবে এবং তার প্রয়োগ করতে হবে।

 

জেসিকা নামের একজন ফরেনসিক সায়েন্টিস্ট যে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছিলেন। ভাববেনই  বা না কেন ? তাঁর কাছে পছন্দ মতো চাকুরী ছিল, একজন প্রিয় স্বামী ছিল, যাঁকে তিনি এক নৈশভোজ এ সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন,  সুন্দর দুই ছেলে ছিল এবং যথেষ্ট  টাকা পায়সা ছিল, যাতে তিনি নিজের স্বপ্ন পুরণ করতে পেরেছিলেন। 

অন্যদিকে PETRIKA  যিনি নিজেকে সবসময় অভাগা মনে করতেন,  তিনি একজন বিমানের কেবিন ক্রু ছিলেন। সেখানে সবাই তাঁকে কুমুখী বলতেন। তিনি যে বিমানে প্রথম কাজ করতে যোগদান করেন সেই বিমানে একজন মদ্যপ ব্যক্তি এমন ব্যবহার শুরু করেন যে বিমান কে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে হয়।

তিনি যে দ্বিতীয় বিমানে উঠেন সেই বিমানে তাতে বাজ পড়ে যায়।  আবার এক  অন্য বিমান এ তিনি যোগদান করলেন সেদিনই বিমান এর যান্ত্রিক গোলযোগ এর কারণে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে হয়। এরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটে ছিল, যেমন যাঁকে উইশ করতেন তাঁর পরীক্ষায় অসফল হওয়া, বা প্রায়শই অসময়ে ভুল কাজ হওয়া এইসব ভুলভাল ঘটনা হওয়ায় তিনি নিজেকে দুর্ভাগ্যবান তো ভাবতেনই তিনি এও ভাবতেন তাঁর সাথে যে থাকবে তাঁরও ভাগ্য খারাপ হবে।

এরকম লোক যারা ভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান ভাবেন তাদের উপর Dr Richard Wiseman ৮-১০ বছর গবেষণা করেন এটা দেখার জন্য যে তারা সত্যি সত্যি কি ভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন। কিছু লোক বেশির ভাগ সময় যাই করেন তাই ভালো হয় এবং কিছু লোক যাই করেন খারাপ হয়। এরকম কিছু লোকের মধ্যে তিনি গবেষণা করে দেখেন এবং বুঝতে পারেন নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ রয়েছে যার জন্য কোনো ব্যক্তি ভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান হন। 

1) Chance or Opportunity :- কিছু সৌভাগ্যবান এবং দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিকে একটি খবরের কাগজ দেয়া হয় এবং গুনতে বলা হয় তাঁর মধ্যে কতকগুলি ফটো আছে।  দুর্ভাগ্যবান লোক দুই মিনিট নেয় পুরো ফটো গুলি গুনতে। অন্য দিকে ভাগ্যবান ব্যক্তি 5 সেকেন্ড এ জবাব দেন। ব্যাপারটা ছিল যে সেকেন্ড পেজ খুলতেই বড় অক্ষরে লেখা ছিল ফটো গোনা বন্ধ করুন, মোট ফটো  আছে ৪৩ টি । আবার খবরের কাগজে একজায়গায় বড় অক্ষরে লেখা ছিল আপনি যদি ফটো সংখ্যা  আগে বলতে পারেন থালে ২৫$ পুরস্কার পাবেন। দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তি সেটা দেখতে পান  নি। প্রশ্ন হলো এমন কেন হলো ?  ভাগ্যবান ব্যক্তি দেখতে পেলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তি পেলেন না কেন। কারণ হলো ভাগ্যবান ব্যক্তি সুযোগ দেখতে থাকেন এবং যখনি সুযোগ পান,  সুযোগ কে ব্যবহার করেন এবং কাজ করেন। দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে এটা হয় না কারণ দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় দুশ্চিন্তা, অযথা ব্যস্ততা,  উদ্বিগ্নতা, অশান্তি নিয়ে জীবন যাপন করেন। সেই জন্য উদ্বিগ্নতা তাঁকে সুযোগ গুলি দেখতে দেয় না। অপরদিকে ভাগ্যবান  লোক শান্ত ভাবে থাকেন। এই খুশি মন তাঁকে সুযোগগুলি দেখতে সাহায্য করে।

সূত্র হলো মাথায় চাপ কম নিন, খুশি মেজাজে বাঁচুন। এবং দেখুন সুযোগ আপনার কাছেও আসবে।

 আরেকটা জিনিস করতে পারেন জীবনে বিভিন্নতা নিয়ে আসুন। যদি একটা গাছেই বারবার ফল তুলবেন তাহলে কিছুদিন পর সেটাতে আরো কম ফল আসবে। আপনি যদি একই ব্যক্তির সাথে বার বার যোগাযোগ করতে থাকেন কিছুদিন পর কম ফল আসবে। তাই জীবনে বিভিন্নতা নিয়ে আসুন। বিভিন্ন ব্যক্তির  সাথে সংযোগ বাড়ান।                                                                                                                                                                  


২) Turn Bad to Good:- একই অবস্থায় বিভিন্ন লোক বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখান। মনে করুন ব্যাঙ্ক এ আপনি গেছেন। সেখানে হঠাৎ করে চোর ঢুকে যায়।

চোর আপনাকে গুলি করে এবং আপনার হাতে গুলি লেগে যায়। যারপর আপনাকে একঘন্টার জন্য হাসপাতাল এ ভর্তি হতে হয়। এই ঘটনায় আপনি আপনাকে ভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান মনে করবেন?  যারা দুর্ভাগ্যবান তাঁরা অবশ্যই বলবেন এটা দুর্ভাগ্য ছিল। কারণ তিনি ভুল সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলবেন, অবশ্যই এটা সৌভাগ্য কারণ যদি গুলি তাঁর মাথায় লাগতো তাহলে তিনি মারা যেতেন, কিন্তু ভাগ্য ভালো যে গুলি হাতে লেগেছে। কিছু লোক এও বললেন যে ছুটি নেওয়ার একটা সুযোগ ও পাওয়া গেলো। হয়ত আহত ব্যক্তি খবরের কাগজেও আসতে পারেন এবং কিছু টাকাও পেতে পারেন।

ভাগ্যবান  এবং দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তির মধ্যে এমনি তফাৎ যে ভাগ্যবান ব্যক্তির জীবনে যখন কিছু ঘটে তখন তাঁরা এটা ভেবে খুশি হন যে যাই হলো ভালোই হলো ভাগ্যিস এর থেকে কিছু খারাপ হয় নি। অন্যদিকে দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিরা  ভাবেন তাঁদের জীবনে খুব খারাপ হচ্ছে।

এমনি একটা ভালো উদাহরণ অলিম্পিকে জেতা ব্যক্তিদের কাছথেকে পাওয়া গেলো। ভাবুন আপনি অলিম্পিক এ আছেন এবং তৃতীয় হয়েছেন, আপনি ব্রোঞ্জ মেডাল জিতেছেন। কিন্তু যদি আপনি রুপোর  মেডাল জিততেন তাহলে আরো খুশি হতেন।  

গবেষণা বলে যে যিনি ব্রোঞ্জ পেলেন তিনি এইভেবে খুশি হন যে যদি আরেকটু খারাপ পারফরমেন্স হত তাহলে কিছু পাওয়া যেত না। রুপো যিনি জিতলেন, তিনি ভাবেন আরেকটু অভ্যাস করলে সোনার পদক পেতাম। তাই জীবন কে ধনাত্বক দেখুন।

3)আরেকটি কথা হলো নিজের অন্তরাত্মার ডাক শুনুন:- দেখবেন কখনো মনে হয় এটা করা ঠিক হবে না,  কিন্তু তবু জিদ করে করে ফেলেন এবং পরে মনে হয় ভুল করে ফেললাম। এমনি ৯০% সব ভাগ্যবান লোক এটা করেন যে তাঁরা অন্তরাত্মার ডাক শুনেন। এটা বিজ্ঞানভিক্তিক নাও মনে হাতে পরে, কিন্তু বাস্তবে Unconscious mind  অনেক শক্তিশালী হয়। যা আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং প্যাটার্ন  কে সঞ্চয় করে রাখে। এই জন্যেই আমাদের Unconscious  mind   অনেক সঠিক হয়। দেখবেন কয়েকবার কোনো ব্যক্তির সাথে কথা কথা বলতে বলতে তাকে ঠিক মনে হয় কিন্তু unconsciously  তার শরীর থেকে খারাপ সিগন্যাল পাওয়া যায় যে এই ব্যক্তি ঠিক না। এমন যখনি unconscious  mind  ইশারা দেয়, তখন অন্ততঃ ওই ইশারাকে অবহেলা করবেন না। সেটা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

কতকগুলি ক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার অন্তরাত্মার ডাক কে সবল করতে পারেন তা হলো ধ্যান বা শান্ত জায়গায় বসা যেখানে unconscious  mind  কে শান্ত করতে পারেন।

4) Power of Expectation :-ভাগ্যবান এবং দুর্ভাগ্যবান লোকেদের উপর গবেষণা করতে করতে লেখক এর আরেকটি কথা সিদ্ধান্তে আসে তা হলো.. ভাগ্যবান ব্যক্তি  ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে খুব ধনাত্বক থাকেন, তাতে এও সম্ভাবনা থাকে যে ধনাত্বক ব্যক্তি অবশ্যই ভবিষ্যৎ এ বড় কিছু করবেন। অন্যদিকে দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিদের মনে খুব   ঋনাত্বক ভাবনা থাকে।

 একটি নিরীক্ষণ করার জন্য তিনি ভাগ্যবান এবং দুৰ্ভাগ্যবান ব্যক্তিদের একই অবস্থায় রাখেন। অবস্থাটি ছিল উভয়কে একটা রেস্তেরাঁয় সময় অতিবাহিত করতে বলা। এবং যে রাস্তা দিয়ে তাঁরা হোটেল এ ঢুকবেন সেই রাস্তায় তিনি ৫ ডলার নোট রেখে দেন।

রেস্তেরাঁয় এমন লোক বসেছিলেন তাঁরা অনেক সফল বড় বড় বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পপতি। অনুষ্ঠান টি এমন ঘটলো যে ভাগ্যবান ব্যক্তি হোটেল এ ঢুকতেই ওই ৫ ডলার নোট টি কুড়িয়ে পেলেন। তারপর তিনি রেস্তেরাঁয় ঢুকে ওই বিশেষ ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পপতিদে সাথে অনায়াসে কথাবার্তা করলেন, তাঁদের সাথে পরিচয় করলেন এবং অনেক কিছু outcome  নিয়ে ফিরে এলেন।

অন্যদিকে দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তি না 5 ডলার এর নোট দেখতে পেলেন, না কারো সাথে কথা বললেন। তিনি রেস্তেরাঁয় ওই সফল ব্যক্তিত্বদের সাথে কথাও বললেন না । একদিকে আলাদা থেকে সময় কাটিয়ে তারপর ফিরে এলেন।

ভাগ্যবান ব্যক্তিটির কাছে হোটেল এ যাওয়া টা একটা সফল অভিজ্ঞতা ছিল। অন্যদিকে দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিটির কাছে সেটা বিরক্তিকর সাক্ষাৎকার ছিল।

 

সৌভাগ্যবান ব্যক্তি এবং দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তিদের আরেকটি নিরীক্ষা নেয়া হলো:- তাদের দুটি দল এ বিভক্ত করা হলো এবং দুই দলকে দুই ঘরে আলাদা রাখা হলো এবং এক দল কে বলা হলো আপনাদের একটি কাজ করতে হবে। ঘরে আলো আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই সুইচটি বন্ধ করে দেবেন। কাজটি যদিও মুশকিল তবু চেষ্টা করবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করা যায়।

২য় দল কে বলা হয় আপনারা তো দ্রুতগামী বিমানের চালক হন, আপনাদের প্রতিক্রিয়া করার সময় তো খুব দ্রুত, যখনি আলো দেখবেন, তৎক্ষণাৎ সুইচ বন্ধ করে দেবেন।

 ঘটনার পর দেখা যায় সত্যি সত্যি ২য় দলের প্রতিক্রিয়ার সময় দ্রুত ছিল। কারণটা ছিল ২য় দল কে ধনাত্বক ভাবনা দিয়ে উৎসাহিত করা হয়ে ছিল।

যেমনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখবেন তেমনি প্রকৃতভাবে হবে। ধনাত্বক আশাবাদী ব্যক্তি রা সহজে হার স্বীকার করেন না। যে কোনো উদ্দেশ্যে বেশিক্ষণ লেগে থাকতে পারেন। অন্যদিকে ঋনাত্বক চিন্তাভাবনা যুক্ত ব্যক্তিরা সহজে হার মেনে নেন।

 ভাগ্য খারাপ বলে বসে থাকবেন না। হতে পারে বর্তমানে আপনি ভালো স্থিতি তে নেই, কিন্তু কর্ম করে এবং উদ্যম ও প্রচেষ্টার দ্বারা নতুন ভাবে সৌভাগ্য নির্মাণ করা যায়। তাই সৌভাগ্য নির্মাণ এর কাজে লেগে থাকুন,  নিশ্চিতভাবে সফল হবেন। 


 আংশিক সারবস্তু "Dr. Richard Wiseman"  এর লেখা " The Luck Factorনামক  বই থেকে  গৃহীত। বইটি অবশ্যই পড়বেন। 

Post a Comment

0 Comments