যে কাজ শুরু করেছেন সেটি শেষ করুন(Finish what you start):-

 

যে কাজ শুরু করেছেন সেটি  শেষ করা আপনার কর্তব্য:-

আমাদের অনেকের জীবনে এরকম ঘটনা প্রায়ই হয়। কোনো বিশেষ কাজ করবো বলে ভাবা হয় কিন্তু ভাবতে ভাবতেই রয়ে যায়, কিন্তু সেটা আর করা হয়ে ওঠে না। এমনকি অনেকে বড়ো  কোনো লক্ষ্য তৈরি করলেন সেটা করবেন বলে, কিন্তু সেটা ভাবতে ভাবতেই জীবন চলে গেলো শুরু আর করা হলো না। অনেকেই ভাবেন জীবনে বড়ো কিছু হবেন বা বড়ো কিছু করবেন। সবার মনেই সেই ইচ্ছা থাকে।  কেউ ভাবেন বড়ো ডাক্তার হবেন,  কেউ ভাবেন বড়ো ব্যবসা করে সফল ব্যবসায়ী হবেন। কেউ ভাবেন আই.এ.এস. অফিসার হবেন, আই.পি.এস. অফিসার হবেন, কেউ ভাবেন বড়ো অভিনেতা হবেন, কেউ ভাবেন বড়ো রাজনীতিবিদ হবেন, মন্ত্রী হবেন।  অনেকের মনেই বড়ো কিছু হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্ত দেখা যায় সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব কমই ব্যক্তি চেষ্টা করেন, কেউ বা দুএকবার চেষ্টা করে অসফল হলে আসা ছেড়ে দেন। কারো হয়ত মনের স্বপ্ন মনেই থাকে, চেষ্টার আরম্ভ টুকুও করেন না। কেন এমন হয় ?


বিখ্যাত লেখক পিটার হলিন্স তাঁর লেখা বই ফিনিস হোয়াট ইউ স্টার্ট তে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন।  কেন কোনো ব্যক্তি মনের মধ্যে তৈরি করা স্বপ্ন কে বাস্তব রূপ দিতে পারেন না, সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন।  সেটাই আজ আমাদের আলোচনার বস্তু। তিনি মনের মধ্যে তৈরি করা স্বপ্ন কে কিভাবে বাস্তব রূপ দেয়া সম্ভব, সেই বিষয়ে খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন।

উদাহরণ স্বরূপ দেখা যাক রামবাবু র জীবনী কে। তিনি এক প্রাইভেট কোম্পানি তে কাজ করেন। প্রতিদিন 10 ঘন্টা কাজ করতে হয়, তার উপর কাজ ঠিক না হলে বস এর গালি খেতে হয়। এসব ঘটনা তাকে সর্বদা অসন্তুষ্ট রাখে।তাঁর নিজের স্বপ্ন হলো একটি বেকারি কারখানা করবেন আর স্বনির্ভর হবেন।

"বেকারি" তৈরি করতে কি কি জিনিস লাগবে তার কাকে কাকে যোগাযোগ করতে হবে, কিরকম জায়গা চাই, কার কার সাথে কথা বলতে হবে, এসবের মনে মনে তিনি তার তালিকা তৈরি করেন। এবং মনে মনে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখেন যে তাঁর কাছে বেকারি কারখানা আছে। ভালো রোজগার আসছে। এখন তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ভালো সময় দিতে পারছেন। এসব তাঁর কাল্পনিক চিন্তা ভাবনা, কিন্তু বেকারির জন্য বাস্তবে কোনো কাজ করা হচ্ছে না, হটাৎ কোনো অন্য্ কাজ আসছে, আর তিনি রোজকার অন্য কাজে ফেঁসে থাকছেন, এভাবেই চলছে।  কিন্তু তাঁর বেকারির প্ল্যান অধরাই থেকে যাচ্ছে কোনো কাজ হচ্ছে না। যখন গরমের ছুটি এলো তিনি ভাবলেন এবার বেকারির কাজ শুরু করবেন।  কিন্তু ছুটি হতেই তিনি বেশির ভাগ সময় বিশ্রাম নিয়ে কাটান, ছেলেমেয়েদের সাথে বেশি সময় কাটিয়ে, আর বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডাবাজি করে ছুটির সময় কে নষ্ট করে দিলেন। বেকারি খোলার ভাবনা আবার অধরাই থেকে গেলো।

এরকম কাহিনী আমাদের জীবনে অনেকের মধ্যেই হয়। অনেকেই অনেক কিছু ভালো করার ভাবনা করেন, পরিকল্পনাও করেন কিন্তু সেটা কার্যকরী করতে পদক্ষেপ নেন না আর সেটা অধরাই থেকে যায়।

এরকমটা কেন হয় ? এসব প্ল্যান নষ্ট করার সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে কিন্তু নিজের পরিকল্পা, নিজের উদ্দেশ্য কে বাস্তবায়িত করা সম্ভব। যে যে কারণে এরকম ভাবে পরিকল্পনা ভেস্তে যায় সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে।

 

কতকগুলি বিশেষ কারণ এর জন্য লোক নিজের লক্ষ্য কে বাস্তবায়িত করতে পারেন না:-

 

1)      আমরা যে কাজটি করতে চাই সেটি সবসময় মাথায় থাকতে হবে, সেটি নিয়ে চিন্তন করতে হবে। রামবাবুকে ছুটিতে এমন কিছু করা দরকার ছিল যাতে বেকারি খোলার জন্য যা কাজ দরকার তার কিছুটা অন্তত করা হতো। ফাঁকা টাইম এ তাঁর মাথায় বেকারি বিষয়ে ভাবনা করেন নি।

2) রাম বাবুর মাথায় নিয়মানুবর্তিতার বিষয়ে গুরুত্ব ছিল না। নিয়মানুবর্তিতা থাকলে তিনি তাঁর পরিকল্পনার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতেন। সময়ের সঠিক প্রয়োগ রামবাবু শিখেন নি। গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ তাঁর জীবনে বিশাল উন্নতি নিয়ে আসতে পারে সেই কাজকে তিনি অবহেলা করেছেন।

3) একটি নির্দিষ্ট কাজ এর পরিকল্পনা নিশ্চিত হওয়ার পর সেটি করা এবং সেটির জন্য জেদ ধরে লেগে থাকা, এই গুনটি আপনার মধ্যে রাখতে হবে। যাকে বলে ফোকাস থাকা 

 4 )কাজ দু রকম হয়। ১) গুরুত্বপূর্ন কাজ।  ২)খুব জরুরি কাজ।

গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো যে কাজ খুবই মূল্যবান। যেটি করলে আপনার বিশেষ লাভ হবে, দীর্ঘমেয়াদি লাভ হবে, আপনার মধ্যে ভালো কোনো বড়ো পরিবর্তন আসবে।আপনি উঁচু জায়গায় পৌঁছাবেন এরকম কিছু কাজ।

অন্য দিকে জরুরি কাজ যে কাজটি তে কোনো গুরুত্ব থাক বা না থাক, যদি করতে হয় এখনই করতে হবে তবেই করা যাবে, দেরি করলে সেটি আর করা যাবে না। অর্থাৎ খুব জরুরি কাজ করতে হাতে সময় কম থাকে, এক্ষেত্রে সময় কম থাকে, তা বলে এমন নাই যে কাজটি খুবই প্রয়োজন , সেটির গুরুত্ব থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।

উদাহরণ হলো। বিকেল তিনটের সময় মাঠে ফুটবল খেলা শুরু আছে। খেলা দেখতে গেলে এখন 2.45PM বাজে এখুনি বেরোতে হবে। আবার 3.50PM তে একটি বিশেষ ব্যবসার সাক্ষাৎকার আছে  যা ব্যবসার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য সাক্ষাৎকার করা হলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অন্যদিকে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়া হলো জরুরি কিন্তু গুরুত্বহীন কাজ। 

আপনাকে জানতে হবে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সবথেকে আগে করা দরকার। আর যদি কোনো কাজ গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি দুটোই হয় তাহলে তাকে সর্বপ্রথম করতে হবে।

 

5) আপনার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন সেটা যেন করা সম্ভব বলে মানে হয়।মন যদি আগেই বোঝে যে এটি করা সম্ভব নয়, তাহলে সেই লক্ষ্যের জন্য আপনি আর চেষ্টা করবেন না। অথবা কিছুদিন করে কোনো ফল না বেরোলেই ছেড়ে দেবেন। এমনটা যেন না হয়, তার জন্য লক্ষ্য যদি খুব বড়ো হয়, তাহলে তাকে ছোট ছোট  অংশে ভাগ করতে হবে। এবং সেই ছোট ছোট অংশ কে এক এক করে সম্পন্ন করতে হবে।

**আপনার জন্য যদি কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকে তাহলে হিসেবে করে পরিকল্পনা করুন, ওই পরিকল্পনার জন্য এক বছরে কি কি সম্পন্ন করতে হবে?

আর সেই একবছরের প্রাপ্তির জন্য আপনাকে প্রত্যেক মাসে কতটুকু কাজ করতে হবে?

সেই একমাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে হবে ?

আবার সেই প্রত্যেক সপ্তাহের লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রত্যেক দিন কত টুকু  কাজ করতে হবে ?

এবং প্রত্যেক দিন সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য দিনের কোন সময়কে কত ঘন্টার জন্য কাজে লাগাবেন ?

এইভাবে ছোট ছোট অংশে পরিকল্পনা করে কাজটি কে সম্পন্ন করতে হবে।

                              

6) "PROCRASTINATION" থেকে বাঁচতে হবে। "PROCRASTINATION" হলো যে কোনো অজুহাতে কাজটিকে করতে দেরি করা। সেইসব বাহানা কে বিশ্লেষণ করে মনকে বোঝাতে হবে যে.. ওই বাহানা আপনার লক্ষ্যের জন্য সত্যি উপকারী কি না? যদি উপকারী নয় তাহলে তাকে ত্যাগ করুন।

আমাদের মস্তিস্ক এমন ভাবে তৈরি যে....মস্তিস্ক কোনো নতুন ঝামেলা নিতে চায় না। আরামে থাকতে চায়।এবং সেই জন্য অন্য অন্য কাল্পনিক বাহানা তৈরি করে আপনাকে কাজটি থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু আপনাকে জানতে হবে যে এই কাজটি করা গুরুত্বপূর্ণ এবং করা জরুরি। এভাবে জেদ ধরে এগোতে হবে। মনকে বোঝাতে হবে যে এখন এই কাজগুলো করলে এই এই পুরস্কার পাবো এবং আমি খুব উপকৃত হবো।

 

আমাদের মন বাহানা করে গুরুত্বপূর্ণ কাজকে দূরে ঠেলে দিলেও পরে মন বুঝতে পারে যে বাহানা করা টা ভুল হয়েছে। তাই মন থেকে পরে আফসোস ও হয়।

কাজকে দ্রুত গতি দিতে এবং এই আফসোস থেকে বাঁচতে হলে এই ১০-১০-১০ পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে হবে।

কোনো কাজ কে আপনি পরে করবেন বলে ছেড়েদিলেন।ভেবে দেখুন ১০ মিনিট পর আপনাকে কেমন লাগবে ?

আপনি ভাবছেন.. কাজটিকে এখন না করা টা ঠিক হচ্ছে না  । তবে ঠিক আছে কালকে করে নেবো। এখন কাজটি করবার  জন্য হাতে যথেষ্ট সময় আছে,  তাই অসুবিধা হবে না বিবেক আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছিলো যে কাজটি এখনই   শুরু করা দরকার। কিন্তু তাকে এই বলে ভুলিয়ে দিলেন যে "কালকে করবো।"

তার ১০ ঘন্টা পর কি মনে হচ্ছে ? "কাজটি করলেই ভালো হতো, দিনটা বেকার নষ্ট করলাম।"  নিজেকে দোষী দোষী মনে হবে। এইভাবেই আজকের দিনটা শেষ হলো, ঠিক করলাম না।

পরের দিন সকালে যখন "কাল" চলে এলো তখন কি মনে হবে ।।  "আজ না করলেই নয় ?  আগামী কাল করলেও তো হবে। আজ একটু বন্ধুদের সাথে ঘুরে তরতাজা হয়ে নিই তারপর  কালকে করবো ?" এভাবেই দিনের পর দিন মন আপনাকে কাজটি টি থেকে বিরত রাখতে চাইবে এবং কাজটি দেরি হতে থাকবে। এভাবে যখন 10 দিন পেরিয়ে গেলো তখন আফসোস হবে "ইস 10 টা দিন কিছু না করেই  নষ্ট করলাম।"

 এরকম ভাবে দিন নষ্ট যাতে না হয়, তার জন্য প্রোক্রাস্টিনেশন করার আগেই মনের এই খেলাকে বুঝতে হবে এবং সময় নষ্ট করা বন্ধ করতে হবে। এই 10 মিনিট,  10 ঘন্টা,  এবং 10 দিনের আফসোসকে কাজের শুরুতেই ভাবুন যাতে সময় নষ্ট না হয়।

 এখানে রামবাবুর ও এই ভাবে ভাবতে ভাবতেই গ্রীষ্মের ছুটি নষ্ট করে ফেললেন।

 মানুষ যখন কোনো কঠিন কাজের সম্মুখীন হয়, তখন মন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ওই কঠিন কাজকে এড়িয়ে অন্য কোনো সহজ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। এবং দেখাতে চায় যে,  আমি ব্যস্ত ছিলাম তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারলাম না।

                                                           

                





এই গুরুত্বপূর্ণ কাজকে এড়িয়ে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ খুব কাজ করে:-

 1) কাজটি করেও যদি সম্পন্ন না করতে পারি তাহলে লোকে কি বলবে ? লোক তো হাসা হাসি করবে।

2) কাজটি করতে গিয়ে, হেরে যাওয়ার ভয়, বা লোক নিন্দার ভয় থাকে। তাই এই ভয় এর সম্মুখীন যাতে হতে না হয় তাই কাজটি এড়িয়ে গেলেই হলো।

3)কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অনেক শারীরিক এবং মানসিক ঝামেলা পোহাতে হবে।এটা আনো রে, এটা করো রে, ওটা করো রে, অনেক হ্যাপা তার থেকে পালাও  বাপু। কেটে পড়ো । 

"PROCRASTINATION" হলো ব্যর্থ হওয়ার ব্যাথা থেকে বাঁচার রাস্তা। কিন্তু বাস্তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজকে এড়িয়ে গেলে ভবিষ্যতে বেশি ব্যাথা আছে। সদ্য মানসিক বা শারীরিক আরাম পাওয়ার তাগিদে ভবিষ্যৎ খারাপ করে নেওয়াটা বোকামি। গুরুত্বপূর্ণ কাজকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন করা দরকার। সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

 

 এই PROCRASTINATION এর সমস্যা থেকে বাঁচতে গেলে কতকগুলি প্রস্তুতি নিতে হবে:-

 1) যে কাজটি গুরুত্বপূর্ণ তার লাভ লোকসানের একটি তালিকা তৈরি করুন। একপাশে থাকবে কাজটি সম্পন্ন হলে আপনি কিকি উপর পাবেন ?  অপর পাশে থাকবে কাজটি না সম্পন্ন করলে আপনি কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, বা কি কি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। এই তালিকা কে প্রতিদিন সকালে একবার দেখে তুলনা করুন।

2) কাজটি শুরু কারবার আগে দেখুন কাজটি কারবার জন্য যা কিছু সাধন থাকে তা যেন সহজ লভ্য হয়। তাহলে কাজটি করতে বেশি আগ্রহ আসবে।

3) যে সব জিনিস আপনার মন কে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে  এমন জিনিস কার্য স্থলের কাছে রাখবেন না। যেমন আপনি যদি পড়াশুনা করতে বসেন,  অথবা বিশেষ চিন্তন করতে বসেছেন, তাহলে মোবাইল ফোন দূরে রাখুন, নাহলে একটি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম নোটিফিকেশন আসবে, আর টুক করে আপনার মন কে মোবাইল এর দিকে টেনে  নিয়ে যাবে।

4) কোনো কিছু কাজ করলেই মন তার পরিবর্তে কিছু পুরস্কার পাওনা হিসাবে পেতে চায়। যেহেতু আপনার পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি, তাই সঙ্গে সঙ্গেই সেই কাজের ফল নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে মন কে সদ্য সন্তুষ্টির জন্য অন্য পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। যেমন ঠিক করলেন.. আজকের টাস্ক কমপ্লিট হলে বিকেলে একঘন্টা মোবাইল এ ভিডিও দেখবেন, অথবা এক ঘন্টা পাহাড়ের ধারে বেরিয়ে আসবেন। এরকম কিছু পুরস্কার শর্ত সাপেক্ষে কাজের সাথে জুড়ে দিতে হবে।

5) কোনো কাজের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা নিয়ে অত্যাধিক আলোচনা বা চিন্তা ভাবনা করাটাও ঠিক নয়।ওতে সিদ্ধান্ত নিতেই দেরি হয়ে যায়। সোজ ব্যাপার, যা যা প্রয়োজন তা করুন এবং যা প্রয়োজন নয় তা থেকে দূরে থাকুন।

6) কখনও মনে করবেন না যে... সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুতু হয়ে কাজটি আরাম্ভ করবো যদি ব্যবসা করবেন, তাহলে এই নয় যে  কোম্পানি রেজিস্ট্রেটন, ওয়েবসাইট, ব্যানার,  লোগো, সবকিছু তৈরি করে তবেই ব্যবসাতে নামবেন। যা প্রস্তুতি আছে  সেটা দিয়েই শুরু করুন। পরে ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকবে। আগে শুরুটা তো হোক!

আপনি যদি দেহের ওজন কমাতে চান তাহলে এই নয় যে “NIKE” এর জুতো  না কিনলে মর্নিং জগিং এ বেরোবেন না। সেটা সাধারণ জুতো বা খালি পায়েও শুরু করা যেতে পারে।ন্যূন্যতম প্রয়োজনীয় সাধন জোগাড় হলেই কাজ শুরু করে দিন। 

7) প্রতিদিনের সময় কে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় স্থির করুন। দিনের যে সময়টি যে কাজের জন্য স্থির করলেন,  সেই সময়ে সেই কাজটিই করুন। উদাহরণ সকল 6.00 AM থেকে 7.00AM সময় যদি শরীর চর্চার  জন্য দেওয়া হলো, তাহলে সেই সময় শরীর চর্চাই করা হবে, অন্য কিছু নয়। এইভাবে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রতিদিনের সময় নির্দিষ্ট করুন। যাকে বলে “TIME BLOCKING”

8) কাজকে প্রতিদিন ধারাবাহিক ভাবে যাতে করতে পারেন, তার জন্য ধারাবাহিকতা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে হবে।  তাহলেই সময়ের সঠিক প্রয়োগ সম্ভব হবে।

9) মোট কথা হলো কোনোরকম বাহানা না করে কাজে নেমে পড়ুন। নিজের লক্ষ্য কে সম্পন্ন করতে, নিজের উদ্দেশ্য কে নিয়ে কাজ করতে নেমে পড়ুন। যে কাজ গুরুত্বপূর্ণ সেটি আগে করুন। সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং মনোযোগ সহকারে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। 

 

                          যে কাজ শুরু করেছেন সেটি শেষ করুন

 


     উপরের এই তথ্য ভালো লাগলে এবং উপকারী মনে হলে অবশ্যই Like  এবং Share করুন।


আরো পড়ুন:Ratan Tata, Mukesh Ambani, Azim Premji, Gandhiji, Mandella, Kalam's Quotes  , Rich Dad vs Poor Dad THE 10X RULE

                 Motivational And Inspirational Quotes For Success

                  Dan Lok's Advice And Quotes For Success ,   Start with "WHY"?                                                        "IKIGAI" A path for Success,  14 Risks you must take for Success

                      চিন্তন করুন এবং সফল হন , কেন করবেন ? সেটা জেনে তবেই কাজটি করুন , 

                      জীবনে কম্পাউন্ড ইফেক্ট এর প্রভাব , বাধার মধ্যে দিয়ে পেরিয়েই সফলতা আসে ,

                      অহংকার হলো চরম শত্রু , আত্মজ্ঞান কি , শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সার ,

                     আকর্ষণ সূত্র , সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা ছাড়বেন না , সফল ব্যক্তিদের 11 টি গুন্ , 

                সফলতার ১০ টি সূত্র , ১০ গুন্ সফল হবেন কিভাবে ?জীবনের আশ্চর্জজনক রহস্য ,

                ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য প্রাপ্তি , 

                মহান ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাস ,   11 Qualities of a Successful Person.

                ব্যবসার জন্য মুদ্রা লোন PMMY  Loan , Inner Engineering by Sadguru Jaggi Vasudev


For Motivational Articles In English visit..... www.badisafalta.com


Post a Comment

0 Comments